বার মাসের পথ পেরিয়ে
বোশেখ এলো বছর ঘুরে
মাগো তোমার দুয়ার খুলে
বরণ করে নাওগো তারে।


কাজল মেঘের আঁচল তলে
সূর্য মামা মুখ লুকিয়ে
তাক ধুমাধুম ঢোলক বাজায়
কাজল মেঘের বিয়ে।


সাদা মেঘা কোমর বেঁধে
আসলো ছুটে দলে দলে
খেমটা তালের নাচন হবে
পবন দাদার সাথে।


সাদা বরণ মেঘ যা ছিল
আশেপাশে ভেসে
দ্রুত এসে মুখ লুকালো
বিজলী পাড়ের শাড়ীর নীচে
কাজল বরণ ধরল তারা
কাজল চেয়ে নিয়ে।


রুদ্র মূর্তি, উড়ন্ত আঁচল,
বিরাজে ব্যপিয়া এলো চুল
গগণ বিদারী নিনাদ ঘোর
থরথর ভয়ে কাঁপিছে ভূধর
জিহ্বা লেলিহান করিছে লেহন
অবনী তাহার কত প্রিয়জন,
বজ্র চাহনী কপট ত্রাস
স্নেহমাখা শাসন নহে সন্ত্রাস।
হৃদয় নিঙড়ে বারি ঢেলে
ফসলের মাঠ সিঞ্চন করে
নবজাগরণের বার্তা নিয়ে
বোশেখ এসেছে ফিরে
বরণ করে নাও গো তারে।।


কে কোথায় আছিস তোরা
লাঙ্গল জোয়াল জলদি সাজা,
সবুজ মাঠের ডাক এসেছে
সিন্চনে তার দিল মজেছে
ভরিয়ে তোলো ফুল ফসলে,
বরণ করে নাও গো তারে।


মাঠে প্রান্তরে সবুজের আভা
ছড়িয়ে দিল পরম শোভা,
পত্র-পল্লবে হিন্দোল জাগে
প্রকৃতি সাজিল নতুন সাজে
চারিদিকে প্রাণের ছোঁয়া লাগে
মাগো তোমার আঙ্গিনা ভরিয়ে
দিতে বোশেখ এসেছে ফিরে
বরণ করে নাও গো তারে।।