সাদা কালো দিন গুলো আজ বড্ড মনে পড়ে
ছোট্ট বেলার সেদিন গুলো কোথায় গেল ঝরে।


ঝিঁঝিঁ ডাকা সাঁঝের বেলা কুপি বাতি জ্বেলে
রাক্ষসপুরের গল্প শুনা নানী দাদীর কোলে।
এক বয়সি ছেলে মেয়ে একখানেতে বসে
পড়ার নামে আড্ডাবাজি চলতো ডামাডোলে।
কুপি বাতি নাই রে এখন বিজলী বাতির চোটে
কেউ দেখে না বাশ বাগানের মাথার উপর
চাঁদ যদিও ওঠে।


বাড়ি বাড়ি যায় না পিয়ন ঝোলা কাঁধে নিয়ে
কান উঁচিয়ে রয় না বধু খবর কি-না আসে,
খবর এখন পায় যে সবাই বিছানাতে শুয়ে।


ঘোড়ার গাড়ি নাই রে এখন, নানার বাড়ি যাওয়া
ছৈয়া নৌকা যায় না দেখা হোগলা পাতার ছাওয়া,
হালের বলদ হাল চষে না, লাঙ্গল জোয়াল কাঁধে
হাল চষতে যায় না চাষা হরিণ ডাঙ্গার মাঠে।
শরৎ বাবুর মহেষ এখন ফ্যানের নীচে থাকে।


বনবাদাড় আর নাইরে তেমন যায়না শেয়াল দেখা
হুক্কা হুয়া ডাক এখন তো আর যায় না তেমন শুনা।
হাজা মজা পুকুর ডোবা যায় না এখন দেখা,
উঁচু উঁচু দালান কোঠা পায় যে এখন শোভা।
পঙ্গাস মাছে ভরা এখন আসমানিদের ডোবা।


পোস্ট মাস্টার যায় না যে আর পাল তোলা নাও নিয়ে,
যন্ত্র চালায় নৌকা এখন মাঝি মাল্লা শুয়ে,
ফটিক এখন যায়রে  ছুটি পদ্মা সেতু হয়ে।


রাজার দুলাল ঘোড়ায় চড়ে যায় না এখন টগবগিয়ে,
করতে শিকার বনে,
রোলস রয়েসে চড়ে এখন পার্কে পার্কে ঘোরে।
রাক্ষসপুরে রাজকুমারী বন্দি হয় না আর
পুলিশ সেথায় পাহারা দেয়, যায় না রাজকুমার।


আলী বাবার নাই তো এখন আগের বয়স আর
বন্ধু বান্ধব নিয়ে রোজই বসায় না দরবার
মর্জিনা আর কাজ করে না আলী বাবার ঘরে
গার্মেন্টসে চাকরি নিয়ে দেদার কামাই করে।
চল্লিশ চোরা চুরি করে গুলশানেতে থাকে,
সুইচ ব্যাংকে টাকা জমায় যায়না গুহার ধারে।


দিনগুলি আর আগের মতন নাই রে এখন,
বদলে সবই গেছে,
দিন বদলের জোয়ার এখন বইছে সবার মাঝে।