হয়তো বেদনা বিধুর কোন এক
রাত, শেষ প্রহর,
সকল যাতনা জয় করে
দুচোখ তোমার আসলো মুদে, চিরতরে।


ঢুলু ঢুলু চোখে তোমার পাশে
বসে থাকা কোন আত্মীয় তোমার
কেঁদে উঠবে সরবে,
তুমি রবে নিরবে।
কী হচ্ছে অন্তরালে,
কি শান্তি না অশান্তি,
জানবেনা কেউ কোন কালে।


নিত্য দিনের প্রাতঃ কাজ
হবে না তো আজ
বয়ে যাবে একে একে।
নিজ হাতে আর হবে না করা
প্রত্যহ যা করেছ আগে।


টুথব্রাশটা তোমার অমনি রবে
কোন দিন আর পেস্টের ছোঁয়া
পড়বে না তাতে।
দরজায় পড়ে রবে তোমার চটি জোড়া
কখনো পাবে না আর তোমার পদছোঁয়া।
মসজিদের বারান্দায়
রবে না কেউ আজ তোমার অপেক্ষায়।
নাস্তার টেবিলে তোমার চেয়ারখানা
রবে না খালি তোমার অপেক্ষায়।


মসজিদের মাইকে তোমার নামে এলান হবে,
সকলরবে,
অনির্ধারিত কাজে পড়শী তোমার ব্যস্ত হবে,
শুধু তুমি রবে নিরবে,
জানবে না কেউ কী হচ্ছে অন্তরালে।


যথাশীঘ্র যথা মর্যাদায় তোমার দাফন হবে
সূর্য ডুবে সন্ধ্যা হবে, প্রতিদিন যেমন ডোবে।
বাঁশবাগানের জোনাকিরা চাঁদের সাথে
মিটিমিটি আলো দেবে
প্রতিদিন যেমন দেয়, অন্য কবরে।
পরদিন সকালে মসজিদে আজান হবে,
পাখি ডাকবে, সূর্য উঠবে নিয়মিত
অন্য দিনের মত,
তোমার মৃত্যু দুই দিন হবে, তুমি হবে গত।