দীর্ঘ অমানিশার অবসানে লাল সূর্য
আনবে দিগন্ত ফুঁড়ে,
তাই ভোর না হতেই কিছু আলোক পিয়াসী সূর্য কণা
উৎসর্গ করবে বলে, আপন প্রাণ মুঠিতে লয়ে
ছড়িয়ে পড়েছিল সেদিন দিগন্ত জুড়ে।


আর স্বভাবজাত মুক্ত বিহঙ্গ অগণিত
ঊষার দুয়ারে হেনেছিল হানা সমবেত।
পাখা ঝাপটে মেতেছিল মরণপণ প্রতিঘাতে
বন জঙ্গল ছেড়ে ছড়িয়েছিল দিগন্তে দিগন্তে।
ঘোষণা দিয়েছিল আসছে লাল সূর্য, সকাল হবে।


আবাল বৃদ্ধ বণিতা মাল্য হাতে
দাঁড়িয়েছিল রাত পোহাবার পথে।


তারপর --------
সূর্য এলো,
দীর্ঘ তিতিক্ষার পরে, সকাল হলো।
সোনালী সূর্য অবগাহনে
সকলে উঠলো মেতে দুর্বিষহ রাতের যন্ত্রণা ভুলে।


শুধু রাতের আঁধারে পালক হারানো কিছু বিহঙ্গেরা
লজ্জা ঢাকতে রয়ে গেলো সকলের অন্তরালে।
কিছু কিছু সূর্যকনা এখানে ওখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে
আলোক হারিয়ে রইল পড়ে।


দীর্ঘ তিতিক্ষার পরে,
লোহিত গঙ্গা বেয়ে লুপ্ত সূর্য উদিত হলো আবার
ডুবেছিল ১৭৫৭ সালের দিপ্রহরে।


ক্ষুব্ধ কালো মেঘেরা কালোথাবা মেলে দল বেঁধে
এখনও ছুটে আসে,
পলাশীর আম্রকানন হতে,
ব্যার্থ প্রচেষ্টা অবিরত  লাল সূর্য‌ আবার ঢেকে দিতে।