আমাদের কুমার নদ শত অত্যাচারেও
আজও চিহৃমান।
নামকরণের সার্থকতার কোন প্রমাণ
আর নেই বিদ্যমান।
তবে তার পৌরুষগাথা কিছু উপকথা
এখনও যায় শুনা।


ছিল দু'কূল ছাপানো জলোচ্ছ্বাস,
মাঝে মাঝে কোথাও কূল ভাংগার প্রয়াস,
ভরা ভাদরে অহরহ নৌকা ডুবির ঘটনা,
ইত্যাদি মা চাচীদের মুখে মুখে ইতিহাস।
একবার খামারপাড়ার বাজার ঘাটে,
হাটুরে জনতা বোঝাই খেয়া ডুবে
কোথায় গেছে, মেলেনি সন্ধান।
বরযাত্রীসহ বিয়ের নৌকা মাঝ নদিতে
ভেসে ওঠার লোক গাথা আজও মুখে মুখে।
স্টিমার,লঞ্চ, বিশাল পানসী, গয়নার নৌকা
চলতে আমরাও দেখেছি।
দেখেছি প্রমত্ত নদীতে নৌকা বাইচ
হাটু জলে দাড়িয়ে, দুই কূলে উত্তাল জনতার ভিড়।


আবার দেখেছি দিনে দিনে
কুমারের কুমারত্ব রেশ হারাতে,
দেখেছি প্রকৃতি বৈরিতা, বাঁধ নির্মাণ
উৎস হারিয়ে উদার বুকে চর জাগরণ।
দেখেছি চর দখলের পৈশাচিক বর্বরতা।


কুমার আজ পরাজিত বীর যোদ্ধা
যৌবন হারিয়ে তিন মাথা ওয়ালা বৃদ্ধ,
পরিচ্ছদ ঠিক থাকে না।


আদিম বর্বরতার শিকার,আমাদের কুমার,
কুমারত্ব হারিয়ে, জড়োসড়ো কুমারী এখন
বহমান, এদেশের হাজার নদীর মত
একফালি সোতা।