সাদা ক্যানভাসে নীল তুলির কারূকাজ
আগেই সম্পন্ন হয়েছিল।
তখনো রেসকোর্সের তরঙ্গমালা পৌঁছায়নি সকলের দ্বারে।
কয়েকটি হিংস্র জানোয়ারের জোড়া চোখ শেষবারের মতো রাতের আঁধারে
সার্চ লাইটের আলো জ্বেলে সেদিন অট্টহাসিতে
ফেটে পড়েছিল।
সুনামি হবে!
বক্ষসাগরে তপ্ত লোহু সুনামি।
দেখেনি যা বিশ্ববাসী কোনদিন আগে।


রাতের আঁধারে,
সুনশান নিরবতা, নিষ্পাপ শিশু স্তনমুখে নিশ্চিন্তে ঘূমে।
হঠাৎ উত্তরপাড়া হতে, ইস্পাত হাঙ্গরগুলো,
ক্রল করে এলো
গুড় গুড় রবে,
সুনামি হবে।


তারপর,
নিকষ আঁধার, প্রকম্পিত আবাস, শ্বাপদের হুঙ্কার,
নির্মিমেষ হাসি হায়েনার,
আকাশে বাতাসে বারুদের
উৎকট গন্ধে দম বন্ধ হবার,
আর আর্তচিৎকার,
সব একাকার,
বয়ে যায় তপ্ত লোহু দরিয়া হয়ে।
তেঁতুলিয়া হতে টেকনাফ, সে দরিয়া মিশে বঙ্গোপসাগরে।


তারপর, সহসা
হতচকিত পেল সম্বিত ফিরে,
গণজাগরণ অচীরে এলো সাইক্লোন হয়ে,
পূবালী বাতাসে ভেসে এলো, কবিতা আবার,
"তোমাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে,
দুর্গ গড়ে তোলা ঘরে ঘরে"
শিহরণ বয়ে যায় বাঙালির শিরায় শিরায়,
সবকিছু ভাসিয়ে নেয় রেসকোর্স জোয়ারে।


তারপর,
একদিন ভোরে,
পূর্ব দিগন্ত জুড়ে,
সুনামি স্নাত লাল সূর্য
শৃঙ্খল ভেঙে, শান্ত সৌম বেশে
উদয় হলো বাঙ্গালীর ভাগ্যাকাশে।


২০ মার্চ ২০২৩
মিরপুর, কুষ্টিয়া