ইসমাঈলকে ডাকিয়া কহেন, জাতিরপিতা ইব্রাহিম
শুনহে বৎস প্রিয়তম কিছুর কুরবানী চান মহামহিম।


ইসমাঈল কহেন,সত্য নবী সত্য স্বপন দেখিয়েছেন রব
কুরবানী দাও আমায় তুমি তব প্রিয়তম আমিই সব।


তড়িৎ গিয়ে পোছিলো খবর বিবি হাজেরার কানে
সাজিয়ে দিলেন বুকের মানিক আল্লাহর প্রেমের টানে।


ছুটিয়া চলিলেন পিতা পুত্রে কুরবানীর প্রান্তরে
দ্বিধাহীন চিত্য খুশির জোয়ার খেলা করে অন্তরে।


এমনি সময় আসিয়া শয়তান কুমন্ত্রণা দিতে চায়
মারিলো পাথর দু'জনে মিলি বিতাড়িত শয়তানের গায়।


শয়তান ছুটিলো হাজেরার কাছে মায়ের মনটা বুঝি
শুনিয়া খবর ছুটিয়া চলিবে ইসমাঈলের খুঁজি।


আল্লাহ চাহেতো কুরবানী হবে নাহি মোর করার কিছু
ব্যর্থ হইয়া শয়তান অবশেষে ছাড়িলো তাহাদের পিছু।


পুত্র কহে শোনহে বাবা মোরে উপুড় করিয়া লও
নয়তো তোমার অন্তরে জাগিবে আমার মায়ার ঢেও।


উপুড় করিয়া পিতা চালায় ছুরি ইসমাঈলের ঘাড়ে
শক্ত হাতের ধারালো ছুরি ঘাড় নাই কাটিতে পারে।


রাগে গোস্সায় ইব্রাহিমে ছুড়ে মারে হাতের ছুরি
আঘাতের চোটে মরুর পাথর কেটে হয় জারিজুরি।


আবার কহে পুত্র বাবাকে চোখ দুটু নাও বেঁধে
ছেলে তোমার কুরবানী হবে আল্লাহর হুকুমতে।


শুনিয়া কথা ইসমাঈলের পিতায় বাঁধিলেন দুই চোখ
কুরবানীটা হয়ে গেলো তাই মনে আনন্দ সুখ।


ফেরেস্তাকে ডাকিয়া কহেন, আল্লাহ মেহেরবান
দুম্বা বিছাও ছুরির নিচে হয়ে যাক কুরবান।


চক্ষু খুলিয়া ইব্রাহিম দেখেন বাছা দাড়ানো পাশে
হয়নি কুরবানী দুহাত তুলেন আল্লাহতালার কাছে।


ভয় পেয়ো না হে বন্ধু তুমি হয়েছো সফলকাম
পরীক্ষায় তুমি জিতিয়া গিয়াছ হয়েছো সুমহান।


সেই দিন হতে কুরবানী শুরু মুসলমানের ঘরে ঘরে
ত্যাগের মহিমা উজ্জিবিত হয় মুমিনের অন্তরে।