শহরটা এখনো শেষ হয়ে যায় নি।
বিচ্ছিন্ন,বিক্ষিপ্ত কয়েকটি দোকান রাস্তার দু'পাশে আছে শেষ মাথায়।
এক পাশে চায়ের টং দোকানের টুলে বসে
শীতের তাপ পোহা সকালে এক কাপ চায়ের অর্ডার দিয়েছি।
প্রতিদিনকার মত কাপে চামচের টিং টং টাং শব্দ তুলে
কাপটা আমার হাতে বাড়িয়ে দিল দোকানী।
সবেমাত্র চায়ের কাপে চুমুক দেব
অমনি মাল বুঝাই এক সাতটনি ট্রাক ঘ্যাচাং করে আওয়াজ তুলল সামান্য দূরে
ততক্ষণে একটি বেওয়ারিশ কুকুর চাকার নিচে পিষ্ট হয়েছে।
পাশের দোকানগুলো থেকে উৎসুক চোখ একবার দেখে নিল।
কুকুর পড়েছে চাকার নিচে ট্রাককি থামে?
মানুষ পড়লেও ত থামে না!


সকাল গড়িয়ে দুপুর, তারও কিছু পরে
যাচ্ছি এপথ ধরে।
দেখলাম,কুকুরটি এখনো আছে আগের মত পড়ে।
তখনো দুর্গন্ধ ছড়ায় নি।
তবুও মানুষ নাক চেপে ধরে দ্রুত লয়ে যাচ্ছে চলে
কুকুরটা কেউ সরায় নি।


সবাই শুধু নিজের নাকটাকে বাচালো!
আত্বকেন্দ্রীক।সকলেই শুধু নিজে বাচতে চায়।
কুকুরটাকে রাস্তা থেকে সরানোর তাগাদা পাচ্ছে না মনে,দোকানীরাও।
নগর অফিস থেকে কেউ আসবে,কুকুর সরাবে,রাস্তা পরিষ্কার করবে।
দায় যেন শুধু কর্তা ব্যক্তিদের!


আরো কিছুক্ষণ পর ছুটে এলো এক পাগলা
জটলা পাকানো মাথার চুল
এলোমেলো মুখের বুল
মোটা রশি গলায় হাতে
নিরাভরণ গা এর সাথে
ময়লায় ধরেছে ঝং কালো
মনে আছে তবুও আলো।


কুকুরটার লেজ এক হাত দিয়ে ধরে
টেনে টেনে নিয়ে গেলো অনেক দূরে।