শীতসকালে পুকুরপাড়ে রোদ পুহাবার কালে
ধানের খড়ে গড়াগড়ি করছি জনা মিলে।
শীতের রাতে উঠুন জুড়ে অগ্নি লেলিহান
বিরনি চালে চুংগা পিঠায় ব্যাস্ত ক'টি প্রাণ।
রোগ বেরামে বাবার কাঁধে আর হয়না চড়া
সেদিনগুলো মনের মাঝে দিচ্ছে নড়াচড়া।
হাত ধরিয়া বাবার সাথে মক্তবেরই পানে
কলমা পড়ার সেদিনগুলো এখনো হৃদয় টানে।
কেলাস ফাঁকি যেদিন দিলাম চাচায় এলো তেড়ে
পড়ার প্রয়োজন বুঝিয়ে দিলেন কঞ্চি দিয়ে মেরে।
গরুর হাটে কুরবানীতে বাপ চাচারই সাথে
হয়না যাওয়া এখনতো আর ঈদের আগের রাতে।
মায়ের সাথে নানার বাড়ি হয়না এখন যাওয়া
দুষ্ট ছেলে পাজি ছেলে গালি হয়না পাওয়া।
ছিলাম যত ভাই বোনেরা মামা কিংবা খালার
সবাই যেন এক একটা ফুল একই ফুলের মালার।
হাসি গান আনন্দ আড্ডা সবই নানুর ঘরে
মা খালারাও মিলছে যেন একই প্রাণের সুরে।
দল বেঁধে সব নামছি যখন পুকুর ভরা জলে
ধাপাধাপি ঝাপাঝাপি করছি খেলার ছলে।
হঠাৎ দেখ নানু এলো হাতে বাশের লাঠি
যে যার মত পালিয়ে গেলো গায়ে কাঁদামাটি।
ফুফুর হাতের একমুটো ভাত অনেক মজার ছিলো
ছোট্ট এসে সেও খাবে কান্না জুড়ে দিলো।
মাঝে মাঝে খাবার নিয়ে যেতাম ধানের ক্ষেতে
সেই ছলনায় ইসকুলেতে হয়না যেন যেতে।
পাড়ার সবাই ছিলো আপন মায়ার ডোরে বাঁধা
সুখে দুঃখে মিলতো সবাই রাত দুপুরে সদা।
সুখে ভরা সেদিনগুলো অনেক মজার ছিলো
স্মৃতির পাতায় দিলাম হানা চোখযে ছলছল।
বাবাও নাই,চাচাও নাই,নানুও গেল মরে
মনের ব্যাথা গুমরে কাঁদে তাদের স্মৃতি স্মরে।