তখনো,চাঁদের হাসি পসরা মেলি বসি আকাশের গায়
জ্যোনাকিরা খায় উড়ে উড়ে চুমু পুবের তারকার পায়।


ঝি ঝি পোকারা হয়নি ক্লান্ত অবিরাম চলেছে গান
গোলাপেরা আছে ঘুমিয়ে তখনো পায়নিকো ফিরে প্রাণ।


গাছের শাখায় নিশিথের পাখি ঝুলছে একে একে
উত্তরের বায়ু পালায় দক্ষিণে পালায় একেবেকে।


শ্রান্ত দীঘিতে ক্লান্ত জলেরা নেই কোন শব্দ সাড়া
টুপ করে পড়ি নারিকেলের ছা জাগায় জলের পাড়া।


জনমানবহীন মেঠোপথখানি সারি সারি গাছের ছায়
গুনছে সময় ভোর- বিহানের পথিকের প্রতিক্ষায়।


সারা গাঁওখানি মৃত্যুপুরি যেন কবরের নীরবতা
প্রতিটি উঠুন নীরব নিথর নেই কোলাহল সজীবতা।


সহসা আসিয়া ঘুমন্ত গাঁ য়ে পুলিশে দেয় হানা
কার নসীবে জুটিবে শীকল নেই কাহারো জানা।


লৌহ কপাটের বাসিন্ধা হবে আল্লাহর প্রেমিক যত
দু'চোখের পানি ফেলিয়া যাহারা সেজদায় অবনত।


ক্ষণকাল পরে রক্তরাগে রাঙ্গিলো আকাশ পুবের
মোয়াজ্জিন ফুকারে মিনারে আযান ভাঙাইতে নীদ সবের।


আযানের বানী শুনিয়া সকলে বাতি জ্বালে ঘরে ঘরে
দিবসের আলো হাসিয়া উঠে সকল আধারের পরে।