পশ্চিমের আকাশে এক রক্তিম লালিমা
পাশ দিয়ে এক পসলা সাদামেঘ বয়ে যাচ্ছে দূরে
একঝাক দুরের পাখি ঘরে ফেরার তাড়নায়
পায়রাগুলো তাদের আস্তানা জুড়েছে।


বউ-ঝি'রা বাড়ির আঙ্গিনা ঝাড়মুছ দিয়েছেন মাত্র
কুপিতে কেরোসিন ঢালে কেউ
বয়োজেষ্ঠ্য জনের মুখ হাত থেকে গুনাহ ঝরছে
মুরগী ঘরের দরোজাটা এখনো লাগায়নি কেউ, আক্ষেপ !


মাঠ ছেড়ে গাঁয়ের ছেলেরা ঘরমুখি
দেরী হলেই যে বাপ-চাচার বকুনি আছে
দুঃর্ভাগার পীঠে দু'ঘা পড়ে যেতেও পারে, ভয় !
পুকুরঘাটে দলবেধে নেমেছে কয়জনা হাত-মুখ ধুবে।


রাখাল গোয়ালঘরে ব্যতিব্যস্থ
রাতের খাবার সাজিয়ে দিতে হবে গরুর মুখে
গাই গরুটাকে একটু আলাদা খাতির, মালিকের হুকুম
বাজারের থলেটা নিয়ে বেরুতে হবে এখুনি।


গায়ের পাঞ্জেগানা থেকে এক সুর ভাসিলো
কুপিটা ধপ করে জ্বলে ওঠে ক্ষিণ আলো ঘরে ঘরে
সুরা কেরাতের মোহনীয় আবেশ ছড়ায় গায়ে
পরক্ষণেই ক্লাসের পাঠে মনোনিবেশ,স্যারের বেতের ভয়।


ঠাকুরমা দেবতাঘরে আরাধনায়
হুড়ুড়ুড়ুর আওয়াজটা প্রতিদিন ভেসে আসে কানে বাজে
মুসলমানের পাঞ্জেগানার মত তাদেরও আহবান
প্রশান্ত দিলে পবিত্র বদনে ঠাকুরমা দেখ দেবতাঘর ছাড়ছে।