তোমার প্রবেশের পর
দরোজায় আচ্ছামতন খিল এঁটেছিলাম
তারপর কতজনাই আছড়ে পড়েছিলো আংগীনায়
হুমড়ি খেয়েছিলো খিল দেয়া দরোজায়
ক্ষণিকের লাগিয়াও খিলটা খুলেনি
কোন খিড়কিও রাখিনি যে কেউ উকি দেবে।


তারপর, কত বসন্ত পেরিয়েছে
গাছে গাছে কত ফুল ফুটেছে,ঝরেছে
কতশত পাখি গান গেয়েছে নানান সুরে
কত মেঘ-বাদলি ঝড় তুলেছে
নদীতে জোয়ার ছুটেছে,ভাটাও এসেছে
আমার দরোজার পাটাতন একটুকুও নড়েনি।


ক্ষণকাল পর তুমিই হাতুড়ি শাবল চালালে
খিলটা এক আঘাতেই ঠন করে উঠলো
দরোজার পাটাতনগুলো দুমড়েমুছড়ে পড়লো
খিড়কিবিহীন দেয়ালটা মাটিতে মিশে গেলো
কাল-বোশেখি ছাড়াই আমার ঘর ভাংলো
আর, আমি এক বিশাল শুন্যতায় ভাসতে লাগলাম।