পূর্বে সীমান্ত ঘেসে পাথারিয়া পাহাড়
সারি সারি চা বাগান আর পানের বাহার
পাহাড়ের মাথা ছুঁয়ে ভোরের আলো
উঁকি দেয় হররোজ লাগে কি যে ভালো।
সবুজের সমারোহে নয়ন জুড়ায়
কাঁচাপাতির চা পাতায় পরাণ হারায়।
পশ্চিমে বিস্তৃর্ন হাওর হাকালুকি
হরেক প্রজাতির মাছেরা করে লুকালুকি।
গোধূলি লগনটা দেখ হাওরের গায়ে
সারাদিনের ক্লান্তি নিয়ে সূর্য পড়ে নুয়ে।
শীত মৌসুমে সেথা আসে হাজার পাখি
কিচিরমিচির গানে করে সুখের ডাকাডাকি।
উত্তর থেকে সি এন্ড বি রোড গেছে দক্ষিণের দিকে
তার গায়ে গড়ে উঠেছে কত বাজার একেবেকে।
প্রাচীনতম বাজার হলো উত্তর শাহবাজপুর
লাতু নামে চিনত সবাই ছিলো অনেক দূর।
হাজিগঞ্জ বাজার হলো শহর বড়লেখা
প্রিয় বড়লেখা নিয়ে এই কবিতা লেখা।
এক পৌরসভা নিয়ে আর দশ ইউনিয়ন
প্রতিটার রুপ সুন্দর্য সকলের জুড়ায় নয়ন।
আম জাম কাঠালের রসে ভরা গ্রাম
মাঠের পর মাঠে আছে কৃষকের ঘাম।
মসজিদ মাদ্রাসা ভুরি ভুরি স্কুল কলেজ
দ্বীনের আলো ছড়ায় সেথা ছড়ায় নলেজ।
মাধবকুন্ড জলপ্রপাত যেন সুন্দর্যের রাণী
গড়িয়ে পড়ে সারা বছর অবিরাম পানি।
আগর আতর শিল্প পারফিউমের রাজধানি
উপজেলার সুজানগর ইউনিয়ন সবাই মানি।
সুনাই নদী একেবেকে কুশিয়ারার সাথে
আমাদের সুখ দুঃখ নিয়ে মিলন মালা গাথে।
নয়নাভিরাম এই উপজেলা আমার জন্মভূমি
মন চায় বারেবারে তারে দিয়ে যাই চুমি।
এইখানে জন্মেছে কত জ্ঞানী গুনি জন
বিশ্বজুড়া খ্যাতি আছে,আছে সরব বিচরণ।
বড়লেখা আমাদের হাজার মানুষের ভিড়
তাকে ঘিরে গড়ে উঠুক সকলের ভালবাসার নীড়।