তুমি আমাকে দেহ বলো, আমি বলি—না, আমি রুহ।
শরীরটা শুধু একখানা জামা, সময়মতো খুলে ফেলতে হবে।
আমি এসেছি উপরের দিক থেকে, এক আলোঘেরা গহ্বর থেকে—
যেখানে পৃথিবীর শব্দ নেই, ঘড়ির কাঁটা নেই,
শুধু আছে চিরস্থায়ী সত্তার নীরব ডাক।
দুনিয়ার ধুলায় আমি হারিয়েছি নিজের ঘ্রাণ।
রং, শব্দ, বাহার—সবকিছুর মধ্যেও একটা বিষণ্নতা লেগে থাকে,
কারণ আমার মূল ঠিকানা এখানে নয়।
আমি জানি না ঠিক কখন,
কিন্তু ফিরে যেতে হবে।
ফিরে যেতে হবে সেই প্রভুর দিকে,
যাঁর ‘কুন’ শব্দে আমার অস্তিত্বের সূচনা।
মানুষ প্রশ্ন করে—রুহ কী জিনিস?
আমি বলি, উত্তর সে জানে না, কারণ সে নিজেই প্রশ্ন।
আমি রুহ, এক সশব্দ নীরবতা।
আমাকে যত চেপে রাখো দেহে,
আমি তত বেশি কাঁদি নামাজে,
জেগে উঠি কুরআনের শব্দে,
ভেসে যাই তওবার অশ্রুতে।
তুমি যদি কান পেতে শোনো,
তবে শুনতে পাবে—
আমি প্রতিদিন বলি:
“ফিরে চল, যেখান থেকে এসেছিলি…
দেহ তো মাটি হবে, আমি আবার আলো হবো।”