বাহ বাহ বাহ,তোমার প্রশংসা করতেই হয়,তুমি পারো বৈ কি!
শুদ্ধ সংস্কৃতির মঞ্চে উঠে কুরআন হাদিস ঢেলে দাও,
নজরুল আর ফররুখের মৌলবাদী কবিতা পাঠ কর একের পর এক
শ্রোতারা তোমার কথা শুনে বিমোহিত হয়
কবিতার শ্লোকে শ্লোকে রক্তে জাগে শিহরণ
তাকবীর ধ্বনীতে মুখরিত হয় জনাকীর্ণ হলরুম।
তৃপ্তির ঢেকুর তুলে মঞ্চ থেকে ধীর লয়ে তুমি নেমে যাও
মনে মনে নিজেকে শুদ্ধ সংস্কৃতির ধারক বাহক ভাবো
আবেগী মানুষগুলো আপ্লুত চোখে তোমার গমন পথে তাকায়
তারাও ভাবে,এই ত সবকিছু শুদ্ধ হয়ে গেলো।
সেই তুমি অশুদ্ধ সংস্কৃতির মঞ্চেও কতটা সাবলীল!
তা দেখে শয়তানও আড়ালে মুখ লুকায়,মুছকি মুছকি হাসে।
শুদ্ধ সংস্কৃতির মঞ্চে মৃতের জন্য হাত তুলে আল্লাহর কাছে চাইলে
আল্লাহ মাফ করে দাও,মাফ করে দাও
মঞ্চের পরিবর্তনে তুমি দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করছ
আর ঢুল তবলার বাড়িতে পালন করছ শোক
কাঁদছ, তা ও মিউজিকের তালে তালে-করুণ সুরে
চোখের পানিগুলো গড়িয়ে পড়তেও যেন তাল লয় খুঁজে।
মিউজিকের করুণ সুর,
নারী-পুরুষের শোকগীতির এই আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনে,
তুমি নিজেকে তখন প্রগতিশীল ভাবো,উপস্থাপন কর।
প্রগতিশীল হওয়া কতটা জরুরী ছিল তোমার?
সেটা হওয়ার আগে তোমার কী কমতি ছিল
সেটা হওয়াতে তোমার কী বাড়তি হয়েছে।
এখন তোমার অশুদ্ধতাকে আমরা যদি শুদ্ধ ধরে নিয়ে
তোমার মউতের পর একটা শোক মঞ্চ করি
জনাকুড়ি নারী পুরুষ মিলে মলিন মুখে তোমার নাম উচ্চারণ করি
মিউজিকে করুণ সুরে কান্নার আবহ তৈরী করি
ছন্দে ছন্দে তাল লয়ে চোখের পানি গড়িয়ে পড়ে
আর,তার জন্য যদি ফেরেস্তারা তোমায় জিজ্ঞাসে
তুমি কি সেদিন আমাদের দায়ী করবে?
তোমার প্রশংসা করতেই হয়,তুমি পারো বৈ কি!
মসজিদে গেলে খতিবের ঠিক পেছনটায় দাড়াও,
আর মন্দিরে গেলে তুমিই যেন পুরোহিত।