নির্বোধ কবিঃ


এই যে, নেতা ব্যস্ত ভীষম
রাখছো নি তার খোঁজ,
যেই ছেলেটা তোমার পিছে
গুরতো অহররোজ।
তোমার দলের আদর্শ নাকি
ভীষম রকম ভাল,
তোমার গুণে মুগ্ধ ভারী
যেই ছেলেটা কাল।


গুনি নেতাঃ
আপনা তরে নই তো আমি
জনগণের তরে,
একটা ছেলে রয় কি মনে
হাজার ছেলের ভীরে।


নির্বোধ কবিঃ
এই যে, নেতা ব্যস্ত ভীষম
রাখছো নি তার খোঁজ,
যেই ছেলেটা করত মিছিল
হরহামেশাই রোজ।
যেই ছেলেটা তোমার জন্য
রাখতো জানের বাজি,
তোমার কথায় যেই ছেলেটা
সকল কাজের কাজী।


গুনি নেতাঃ
এমন ছেলে আমার দলে
কত জনই তো আছে,
জনসেবার দীক্ষা নিয়ে
মানবের তরে বাঁচে।


নির্বোধ কবিঃ
এই যে, নেতা একটু খানি
খাটাও আপন মাথা
যেই ছেলেটা তোমার তরে
সিঁকাই পাশের খাতা।
যেই ছেলেটার কৃষক বাবা
ক্ষেতে ঝারায় ঘাম,
তাঁর ছেলেটা বড় হবে
রাখবে গায়ের নাম।


গুনি নেতাঃ
শিক্ষার্থীদের অস্ত্র দেওয়া
বিরুধীদের কাজ,
এটা নিয়েই প্রেসক্লাবে
মিটিং হবে আজ।
নির্বোধ কবিঃ
এই যে, নেতা একটু ভাবুন
বছর দু’ইএক পাছে,
হামলাকারী একটি ছেলে
খঞ্জর নিয়ে নাচে।
এমন ছবি সব কাগজে
ভরল প্রথম পাতা,
সুধি সমাজ এথায় সেথায়
বলছে নানান কথা।
পুলিশ বাবু ছোট্ট খোকা
ফিটার নিয়ে খেলে,
ঢান্ডা হাতে, বাঁশি ফুকে
অর্ডার যদি মিলে।


গুনি নেতাঃ
চর ছিল সে অন্য দলের
করছি ছাটাই তাকে,
দন্ড তাকে নিতেই হবে
যেইখানটাতেই থাকে।


নির্বোধ কবিঃ
এই যে, নেতা সকাল বেলার
গরম কফির স্বাদে,
রাখছনি খোঁজ সেই ছেলেটার
কৃষক বাবা কাঁদে।
সেই ছেলেটার লাশটা নাকি
মর্গে আছে জমা,
মুঠোয় মুঠোয় স্বপ্নভঙ্গ,
কি হবে তার ক্ষমা।