বহুদিনের লালায়িত সখ, তোমার সাথে ঝগড়া করার, জমানো খুনঠুসিগুলো,
শুনাবো তোমায় কোন এক চাঁদনী রাতে, আঠারো বসন্তের অনুক্ত কথাগুলি।
একদিন তোমার লম্বা বেনিটা খুলে দেব, কালো চুলগুলো করে দেব এলোমেলো,
একদিন পরমানন্দে আমার মাথাটা তোমার কোলে তুলে নিবে, আর রূক্ষ চুলে চিরুনী হবে তোমার আঙ্গুলি ।


আমার বড্ড ইচ্ছে, তোমাকে নিয়ে একদিন যাব নৌকা বিলাসে,
এক পূর্ণিমা রাতে, তুমি-আমি আর যৌবনাত্তাল মাতাল নদী,
জোছনার সিগ্ধ আলোয় দেখবো তোমার প্রাঁণখোলা হাসি,
আর অজানা ঠিকানায় ভেসে যাব, প্রিও তুমি একদিন আস যদি।


বড় সাদ একদিন তোমার কঁচি সরু বাহুযুগলে আবদ্ধ হব,
আর বৃষ্টির সন্ধ্যায় তুমি গুন-গুন গান গেয়ে, আমার আঠারো বছরের অবরুদ্ধ ঘরে প্রদীপ জ্বালবে,
আর আমি আরাম কেদারায় ডেলান দিয়ে তোমার নিত্যকর্মের নিপুণতা দেখে মুগ্ধ হব,
পেছন থেকে তোমার শাড়ীর আঁচল টেনে ধরব, তাতে তোমার সোনা মুখটি লাজুক রঙে আরক্ত হয়ে উঠবে।


ব্যাকুল হৃদয়ের ভাষাটা পড়তে বলছি, অথচ হেসে-হেসে কুটি-কুটি হও তুমি,
আর আমি বোকার মত তোমার মুখের সাদা দাঁতের গাঁথুনীর সৌন্দর্য্য দেখি,
আমার হৃদয়ের অনাবাদী ক্ষেতেও ফসলের ঢালি সাজাবে, যদি হও তুমি প্রেমী,
বড় সাদ তোমার কোমল হাতে আমার দুটো হাত রাখি।


আঠার বসন্ত শেষে আবার আমার বাগানে শিউলি ফুল ফুটেছে,
তোমাদের বাড়ীর দক্ষিণা জানালায় আমার বাগানের মিষ্টি সুবাস ছড়ায়,
একদিন এমন দুপুরে, তোমার খোপাটা বেঁেধ দিতে বড্ড মন চাইছে,
একদিন ফুল কুড়াঁতে এসো, আমি স্বপ্ন গাঁথা নিয়ে প্রেম বিলাসী হব, তোমার হৃদয়ের আঙ্গিনায়।
***
র  চ  না   কা  ল
৭ কার্ত্তিক ১৪২১
গাজীপুর,ঢাকা।