তুমি আমার পরিচিতা, একটি মেয়ে কালো,
গায়ের রঙে যায় না বাঁধা তোমার রূপের আলো।
ডাগর গড়ন চোখ দুটো বেশ, মিষ্টি মুখের হাসি,
বুকের আঁড়ে বাজল কেমন, মায়ার মধুর বাঁশি।
আমার বাড়ী অনেক দূরে  খালার বাড়ি এথা,
এমনি করে তোমার সাথে  প্রথম দু’এক কথা।
রোজই তুমি সেলাই শেখ,আমি যে তাঁর চেনা,
কেন আমি দেখছি তোমায়? হয়তো তোমার জানা।
তুমি ভীষম চপল মনা হাসি-খুশি বেশ,
মিষ্টি ভোরে যেমনি থাকে  শিশির ভেজা রেশ।
তুমি তখন কলেজে যাও, নাইনে আমি পড়ি,
প্রথম দেখায় লাগছিল ভয় কেমন ও হাত ধরি।
তুমি আমায় গল্প শোনাও আমি দেখি পাখি,
আপনি থেকে হঠাৎ তোমায় কেমনে বলি সখি?
তোমার বাবা পানের চাষি, ছোট্ট ছনের ঘর,
চাওয়া তোমর নয় তো বেশি, আমার মত বর।
ভাবছি অনেক তোমার কথা, সামনে খোলা বই,
বাবা আমায় বলল আমি পড়ায় ভাল নই।
আমি নাকি ইঁচড়ে পাকা,সবকিছু তার জানা,
ঘুনাক্ষরেও আমার জন্য যশোর জেলা মানা।
আজ জানা নাই কোথায় তুমি, সেলাই কিনা পার,
দু’এক কদম হাঁটা-হাঁটি আজ কি মনে কর।
ছেলে মেয়ে কয়টা তোমার,কোন শহরে বাস,
নাকি কোন অজ পাড়াগাঁয়,পুশছো পাতি হাঁস।
বরটা তোমার কেমন হল, কেমন পরো শাড়ি,
খুব সহজে অভিমানে মুখ কর কি ভারী?
তোমায় আজকে আঁকছি খাতায়, শুধুই মনের টান,
জানিনা কি ভাঙ্গল কিনা, তোমর অভিমান।
                 ****