আজকে দারুণ কালচে রঙের অমন সোনার দাঁত,
চৈত্র খাড়ায় যেমন ফাঁটে সবুজ ধানের ক্ষেত।
এ পাড়ার আম, সে পাড়ার জাম, কিসে সন্ধ্যা-দুপুর,
নিক্কন ধনিত, যুগল পদে গিনি সোনার নূপুর।
পুতুলের শাড়ী, মিছেমিছি ঘর, অমন বয়সের খেলা,
অরুণক্ষণে ডুবিয়া ভানু, উঠিল তরুণ বেলা।
এঘরে ও ঘরে চেচাঁইয়া বলিলাম, শশুড় এসেছে বাড়ী
সরল মনের হাসিতে সেদিন হাঁটে ভাঙ্গিল হাড়ি।
দুয়ারে দাড়ায়ে বাজান সেদিন শরমে ভাবিয়া সাড়া,
"অল্প বয়সে বিয়ে দিয়া কনে হাসাইতে বসেছি পাড়া।"
সেদিন ব্যানে উঠিয়া দেখিলাম ঘাটেতে বাঁধা নাও,
দুফোটা অশ্রু ফেলিয়া বাপে বলিল বাছা যাও।
আজকে থেকে ওরাই আপন, বাপরে জানিবা পর,
হাজার দুঃখে আগলে রাখিও সোয়ামির সুখের ঘর।
যাইবার কালে ব্যাথা ভরা বুক, হাসিল মুখে জোরে,
আষাঢ়ের আকাশে যেমন রোদ ভুবন রঙ্গিন করে।
শ্বশুড় সেদিন বুঝালো বাপেরে কাঁধেতে রাখিয় হাত,
চাঁদের আলো কেমনে রাখি বাড়িতে তিমির রাত।
আজকে সেই রঙিন চাঁদের ধূসর করুণ ছাঁয়া,
ঘাটেতে আজি বসিয়া কাটাই ছাড়িতে পারের মায়া।
ভাবিয়া সেদিন পুরানো সুর বুকেতে উঠিত ব্যাথা।
আমিও সম ব্যাথিত হইতাম শুনিয়া দাদির কথা।
চলমান...