ভাবনা জাগে দিনগুলো আজ কোথায় নিয়ে এলো,
ভীষণ রকম পড়ছে মনে দস্যি ছেলেগুলো।
এমন শীতে দল বেঁধে সব ছোট্ট পথের ধারে,
রোজ সকালে রোদ পোহাতাম, খুব যে মনে পরে।
প্রজাপতির পিছে পরে ছুটতাম বিরামহীন,
মা বকতো, “স্কুল ফাঁকি দিসনে প্রতিদিন।”
আবার ছুট, খালের পারে ডুবা-ডুবি খেলা,
গুলি খেলায় ফুরিয়ে যেত সন্ধ্যা-দুপুর বেলা।
ফসল উঠলে মুক্ত হাওয়া,ফাঁকা বিশাল মাঠ,
রোজ বিকালে মুখর ভারী কত খেলার পাঠ।
ঘুড়ির সুতো কার কত দূর, সূর্য ছোঁয়ার পালা,
কার পুকুরের শাপলা ফুল, মোদের গলায় মালা।
কার ক্ষেতেতে খিড়াই ভাল, কার গাছে কোন ফল,
লেবু মিয়ার ব্যাকাঁ গাছে মিষ্টি ডাবের জল।
এক ঢিঁলে কে ফুটো করে ইছুর রসের হাড়ি,
জানতে চাইলে বকে ইছু নাড়িয়ে ছাগলদাঁড়ি।
হনুর মেয়ে কাঁদলে সবাই দিত গলার জোর,
ঝাটা নিয়ে তেঁড়ে হনু, হেসেই দে বোঁ দৌড়।
পটলা বুড়ির লেপা ঘরে, বাঘের খামচি আকাঁ,
এসব বুদ্ধি হর হামেশাই থাকতো মাথায় রাখা।
দেশ-বিদেশে ব্যস্ত কাজে দস্যি ছেলেগুলো,
ভাবনা জাগে দিনগুলো আজ কোথায় নিয়ে এলো।
                   ***