ঘোষবাবুদের ছাড়া বাড়ী একটা পুকুর পাড়,
ভিষণ রকম শেওলা, পোড়ো, ঘাট বাঁধানো তার।
পুকুর পারে ঝোপের মাঝে হরেক বুনো ফল,
ডালিম ফলের রসে ভরা শান্ত নীলাভ জল।
মিষ্টি করে হেসে থাকে শাপলা, কলমি ফুল,
যায় কি দেখা, এখন সেথা তোমার দীঘল চুল?
সেই যে অনেক আগের কথা, স্কুল ফাঁকির দিনে,
আমরা সবাই মুগ্ধ ভিষণ তোমার অমন গানে।
এক দুপুরে তুমি-আমি, গোষাবাবুদের ঘর,
বৃষ্টি ভারী, তোমার বুকে কাপঁছিল ধড়পড়।
তুমি-আমি পোড়ো বাড়ি, সে তো অনেক কথা,
সেসব ভেবে আজও কি হয়, বুকে চিনেক ব্যাথা।
সে সব দিনের কথা ভেবে পাইনা আজও কূল,
সবার সাথে অমন তুমি? নাকি, ভাবনা আমার ভুল।
আমি তোমার বন্ধু ছিলাম, নাকি অন্য কিছু,
স্কুল ফাঁকি দিয়েও কেন, হতাম তোমার পিছু।
আমায় দেখে হাসতে তুমি, মারতে আবার জোরে,
কোনেক রাতে ভাঙ্গছিল ঘুম, আমার নামটি ধরে,
তুমি-আমি একই সাথে পড়তে যেতাম রোজ,
স্কুলে না পেলে আমায় বাড়ী নিতে খোঁজ।
আমার মায়ে আজও বলে মেয়ে তুমি ভাল,
মনটা তোমার ভারী সরস, গায়ের রং যা কালো।
তোমার জন্য শুভকামনা, আজকে বিশেষ করে,
হাজার সুখের বীনা বাজুক তোমার সোনা ঘরে।
আদার আসুক, সোহাগ আসুক, আসুক প্রেমের ধারা,
তোমার ঘরটি হাজার সুখে থাকে যেন ভরা।
                       ***
গাজীপুর,ঢাকা।
২২ শে পৌষ ১৪২১