আজ হরতাল তাতে কি-
তোমাদের তো ঈদ উৎসব,
দশ টাকার ভাড়া চল্লিশ টাকা হাকো-
কি আর করা সুজোগবাদীর দল যতসব।


বাবু, নিতান্ত গরীব, তারপর তিনটা বাচ্চা বলে ঠেকা-
হরতালেও বাজারের জন্য বউয়ে গালি দিল,বের হয়েছি তাই,
রিক্সার প্যাডেল মেরে যা পাই তাতে সংসার চলে--
শরীরটা যদি নিতান্তই অপারগ হয়, তাহলে সবাই মিলে উপোস যাই।


অনেক টাকা উপার্জনের আশায় নয়;
ভাড়াটা বেশি নিয়ে যদি দুটি খ্যাপ দিতে পারি সহিসালামতে,
তারাতারি দুটো মুলা আর পুঁটি মাছ নিয়ে ফিরব;
সকাল থেকে বাচ্চাগুলো না খেলে খেলছে, দুপুরে খাবো একসাথে।


দুঃখিত ভাই, তাড়াতাড়ি পা চালাও, সামনে চিপাগলির মুখে-
স্লোগান সমেদ পিকেটারগুলো তো এদিকেই আসছে তেরে,
মুহূর্তের মধ্যে ধর্ ধর্, মার,মার, ককটেল,টিয়ারশেল বা গুলির শব্দ-
শুকরিয়া আদায় করলাম যদিও পাজরে একটু লেগেছে, রিক্সা থেকে পরে।


রিক্সাটি খুব তাড়াতাড়ি জ্বলছে, কেউ চায়ের দোকান থেকে-
এক বালতি পানি দিয়ে নিবারণের ব্যার্থ চেষ্টা করছে,
কেউ একজন খবর দিল, রিক্সাওয়ালাটি হাসপাতালে,
তার ডানপায়ে নাকি গুরুতর জখম হয়েছে।


অনেক ক্লান্ত শরীর, মনে হচ্ছে বাথরুমে ট্যাপের নিচে বসে থাকাটা স্বস্তিদায়ক,
নিজেকে নাগরিক হিসেবে খুব অসহায় লাগছে।
প্রান্তিক তিনটি শিশু, বাবার সাথে দুপুরে খাবে,
এই চিত্রই শুধু চোখে ভাসছে।
অনেক পুরানো একটি হরতাল,
মনে পরে গেল, কাল-
আবার হরতাল
***
[এটা কোন কবিতা কিনা জানিনা। তবে কেউ একজন আমাকে তারা দিচ্ছিল, তাই না লিখে পারলাম না।]