একটা হাঁসে রোজ সকালে একটা ডিম-ই পাড়ে,
বউ আর হারু দুই সদস্য হারু মিয়ার ঘরে।
হারু মিয়ার যুক্তি সহজ ‌'আমি খাটি মাঠে',
ডিম না দিলে পাঁতি হাঁসটি বেচব নিয়ে হাটে।
সোজা কথা আমার পাতে ডিম পাওয়া চাই রোজ,
নিজে বাঁচলে পারব নিতে বাপের খবর-খোঁজ।


হাঁসটা ছিল ছোট্ট ছা, পুষে করছি বুড়া,
এ বাড়ি-ও বাড়ি থেকে আনছি কত কুঁড়া।
এখন তুমি মালিক সাজো, ডিম খেতে চাও একা,
খাটলাম শুধু মাঝির মেয়ে, পাইছো সরল বোকা।
কোন কালেও আমার পানে চাওনি তুমি ফিরে,
সোনার অঙ্গ কয়লা কেমন হচেছ ধীরে ধীরে।
আর ভেজে না মিষ্টি কথায়, মোটা ধানের চিড়া,
প্রতিদিন-ই ডিম খাওয়া চাই মোহাম্মাদের কিরা।


ভুলে গেলে? হাঁসের ছা-টা,নিত সেদিন  চিলে,
আমি ছাড়া কে আর আছে,আনবে পেরে ঢিলে।
অধিকারের প্রশ্নে গেলে আমি তোমার আগে,
ফেনের খাদা ভাংলে কেন মিথ্যে অনুরাগে।
হাড়ি-পাতিল, ফেনের খাদা যা ইচ্ছে তাই ভাঙ্গো,
হাঁসের ডিম একলা খাব, যাও অভিশাপ মাঙ্গো।


দিন গেলো তো সপ্তাহ গেলে, গেলো কেটে মাস,
হারুর ঘরে ডিমের ঝগড়া হয় না তবু শেষ।
চুলার পিঠে বিড়াল ঘুমায়, পেটে ছুঁচো কাঁদে,
কেউ আর কারও মুখ দেখে না পুরানো সব জেদে।
হারু এখন অলস বসে, যায় না ক্ষেতে-বিলে,
ডিম-পারা হাঁস জেদের বসে মরছে তিলে-তিলে।

পটলা বুড়ি শুনে সকল হাসে রাঙা ঠোটে,
ঘরের জ্বালা মিটবে কী সব প্রতিবেশির ভোটে?
বলছি বাছা সময় আছে কূটকৌশলী ছাড়,
তা না হলে তোমার সংসার গরীব হবে আরো।


সমাধনটা নয় তো কঠিন,যদি কথা মানো,
এক পাটিতে বসবো সবাই বউটা ডেকে আনো।
ছোট-খাট ঝগড়া নিয়ে হতাশ কেন বাপ,
দুইয়ে মিলে শুরু কর, এক্ষুনি সংলাপ।
                       ____০____
রচনাকালঃ ৭ জানুয়ারী'১৫
গাজীপুর,ঢাকা।