বুকজুড়ে স্বচেতান উত্তাল, দুর্বার
পুরানকে করতে চেইছে সে চুরমার।
গদবাঁধা গদ্যে শুকেছে সে শোষণের গন্ধ,
অতীতের পথ্যে সন্ধিহান; ভারী বিভ্রান্ত।


এ কি নয় তার মুক্ত চিন্তার স্বাধীনতা?
হামাগুরি দেওয়া শিশুটির ন্যায় সরলতা।
এ পথে হেঁটেছে যত সৃজনবিদের দল,
সকলের মাঝে বিদ্ধ ছিল শিশুর কৌতুহল।


ধরে নিলাম সে খারাপ লেখে,
বিশ্বাসে অরুচি গতানুগতিকে।
ভক্তিরসে সে ঠুনকো, প্রচলি ধ্যানের অভাব?
তোমার যুক্তির যুলিতেও তো ছিল ঠিকঠাক জবাব।
কে করেছে তোমাকে পাঠক হওয়া জবরদস্তি?
কে দিয়েছে তোরে যাদুর টনিক; কোন রক্তচক্ষুর খিস্তি?


তবে কেন তুই রাক্ষস হলি? রক্তাক্ত করলি ফের,
অভিজিতের বাবার দুঃখি দুটো চোখে, ভাসেনি কী ছবি তোর আপনের?
প্রকাশে যার আনন্দ, চেতনায় বড় দুর্বার,
মরে জিতিল অভিজিত বাবু, তোরা হারিলি বারবার।


সবার ধারণা তোমার দর্শনে থাকতেই হবে, পরিপাটি শুদ্ধ,
যথাযথ কায়দায় প্রস্তরযুগীয় রক্ষীনতায় বিধিবদ্ধ।
এমন ধারণা রেখেছ কোন? কিসের অধিকারে,
নিজেকে রাখছো বন্দি কেন অজ্ঞতার কারাগারে?
***