হেমন্তের এক শিথিল রাত্রে
পল্লবী আমায় ডেকেছিল
ঘরের সীমানা হতে
সাড়ে তেরো গজ দূরের
নিস্তন্দ্র পাখিদের অরণ্যে।


পল্লবী কি আমায় ভালোবাসে?
আমার প্রতিকৃতি বুকে চিত্রিত করে
সে ও কি অতন্দ্র প্রহরী সেজে
পাহারা দেয় বিষাদের জানালা?
অলীক সম্ভাবনার আশ্বাসে
সে ও পাড়ি দেয় ক্রন্দনের কক্ষপথ?


নির্জন আন্ধার— পল্লবীর ঠোঁটে রং-তুলি,
আমার কপালকে ক্যাম্বিস ভেবে
চিত্রিত করেছে সুদীর্ঘ এক চুম্বন।
ধরাশায়ী দেহের সমস্ত ভার
ভর করেছে ললাট কোরকে।


জনাকীর্ণ গোরস্তান— অপ্রেম— অভয়
চতুর্দিকে ছটফটানি কাতর কোলাহল।
মৃগনয়না পল্লবী সন্ধান করছে পুষ্পের,
গোরস্তানে সে ফুল পাবে কোথা?
তবে কি সে আজ আমায় ভালোবাসবে না?
ফুল ছাড়া ভালোবাসা হয়?


পল্লবীর চোখ বেয়ে রক্ত ঝরছে,
ফুলের সন্ধান না পেলে
চোখ দিয়ে রক্ত গড়ায়।
কান্না— ভালোবাসার জল—
যে একবার ডুবেছে প্রেমসমুদ্রে,
সে কখনো ফুল ছাড়া ভালোবাসতে পারেনি।
তবে কি! থাক।
পল্লবীর মুখে রুমাল বাঁধা,
দূষিত বাতাসে উড়ন্ত চুল
প্রতিধ্বনি দিচ্ছে,
ফুল ছাড়া ভালোবাসা হয়?