মাগো,
শ্রাবণী রাতে মানুষ হয়েছি তোমার হাতে।
নরকের দরজা সব তালা দেওয়া-
আমি তোমার জন্য স্বর্গের দ্বার খুলে দিয়েছি মা।
স্রষ্টার পরে আমি তোমায় ভালোবেসেছি।
স্বপ্ন ধুলোয় মিশেছি তোমার আঁচল মায়ায়।
সর্বনাশা নদী-নৌকা পেরিয়ে তোমার ছায়ায় জিরিয়েছি।
সমাজ সংস্কারের দায়িত্বে মেতেছিলাম,
কংক্রিটের বদলে রক্ত-মাংসের গাঁথুনিতে গড়েছি সমাজ।
তোমার কোলে উঁবু হয়ে বসবার সাধ-
বারবার তোমার কাছে ফিরিয়ে নিতে চেয়েছে।
বলো মা, নরক হতে কী বেরিয়ে তোমার কাছে যাওয়া যায়?
তোমার সম্মুখে নিজের বদনখানা দেখাতাম কিভাবে?
মনঃক্ষুণ্ণ হতে তুমি-
নরকবাসীর মা বলে।
বলো মা, তুমি কী সত্যিই কষ্ট পেতে?
নাকি দু'হাত বাড়িয়ে দিতে বলতে, 'এসেছিস বাবা?'
জানো মা, আমার বড্ড ভয় করে-
এখন আর রাত-বিরাতে কাছে কেউ উশখুশ করে না, 'বাবা, খেয়ে নে।'
এখন আমি আর বিরক্ত হই না।


মা, এখানে অশরীরী অসুর-
অসূর্যম্পশ্যা নারী,
আমায় আঁকড়ে ধরে।
আমার নাক, চোখ, হাত - আস্ত নেই কারো।


মাগো, আমি নরকবাসী বলছি।
তুমি ধরিত্রীর বুকে নরকবাসীর মা হয়ে হেলায় কাটাচ্ছ বেলা।