মাদলের শরীরে প্রহারবেদনায় উদ্ভূত সুর,
নবদিগন্তের সপসপে অন্ধকার—
নৈরাকার মেঘের অতিশয় ব্যস্ত ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া;
সিন্ধুর পাড়ে ক্ষারীয় জলের ঢেউ ঢেউ খেলা।


ব্যক্তিগত শৌচাগার ছাড়িয়ে গণ শৌচাগার,
সবখানে ছড়িয়েছে মানবমস্তিষ্ক।
গৃহস্থালি পেরিয়ে উচ্ছৃঙ্খল চা'য়ের টং,
গর্ভমোচনের বেদনায় কাতর হয়েছে গর্ভধারিণী।


নীরদের দেশে মাঝিমাল্লারা গড়েছে
বাষ্পের ইশকুল।
বৃষ্টিচ্ছটায় তলিয়ে যায়, কখনো রোদের মায়ায় হাঁসে।
জলহীন হাওড়ে জলাভাবে শালুকের আত্মহনন।


পৃথিবীর স্তন, নাভির কূপ- সবখানেতে হননকারী,
অহিতসাধণের দুর্ভাবনায় তারা ছুটছে দিগঙ্গনার ওষ্ঠ পদদলিত করে।
দিঙমূঢ় পর্যটকের আপাদলম্বিত কেশরের মনোহারিতার অজুহাত
ক্রমশ ধরণিকে টেনেছে প্রণয়ীর চোখের পানে— জ্বালিয়েছে প্রেমের অঙ্গার।