কৃত্রিমতায় পরিপূর্ণ এই বিস্তৃত ভূমি
তোমাদের ছিল না কভুও।
মেকি মায়ার প্রতি বড্ড নিশ্চেষ্টতা নিয়ে
ছুটন্ত মানুষটি বেঁচে আছে কৃত্রিমতায়।


হেমন্তের ছায়ায় অবগুণ্ঠনের শুন্যস্থান মাড়িয়ে
ধূসর রঙা কোনো ঘাসফড়িংয়ের চোখ—
চক্ষুর অগোচরে চঞ্চলতায় ডুবন্ত প্রাক্তন প্রেমিকার
হাসি চিত্রিত করে ফেরারি হয়ে মেঘের আঁচলে হারায়।


বিষমকাল— প্রদেশের সবচেয়ে সুদর্শন যুবক;
যার হাত নেই, পা নেই, কথা বলবার সামর্থ্য নেই।
লক্ষ্মীপেঁচার দৃষ্টিতে যে ছেলেটা পৃথিবী দেখে,
তার হৃদয় কেঁপে উঠে ধুরুধুরু শব্দে—
সেখানে জীবাণুর মতন ভালোবাসারা ভর করেছে দল বেঁধে।


সূর্যের আয়ু ক্রমশ বিদায়ের পথে এগোয়,
ফুরিয়ে আসে মানুষদের জীবৎকালের মেয়াদ।
তবুও ফুরায় না ভবসিন্ধুর স্তনের দুগ্ধ পান করা
যুবকের বুকে তার প্রণয়াস্পদার প্রতি অনুরাগ।


নিদ্রাকে জেনেছি মৃত্যুর সহোদর নামে,
ঘুমন্ত মানুষের মতন খাঁটি মৃত্যু হতে
পালাতে যেয়ে কতজনই খোয়াল প্রাণ!
অপরিমেয় প্রেমাগ্নির হাত থেকে
রেহাই পেতে গিয়ে পথ পেরোনো পাখিটি
এ ডাল-ও ডাল ছুটে যাওয়া প্রণয়ীর ভাবাবেগ বুঝেনি।