মম চক্ষু নিষ্কাশিত বৃষ্টিপাত,
পেরিয়েছে তেপান্তরের রেলস্টেশন।
শেষ বিকেল,
জনমানবহীন কানন,
নিঃসঙ্গ খেচর,
ঝরে পড়া কুসুম কলি,
সীমান্তবর্তী অম্বরের নীলাভ বিহ্বলতা।


পিঞ্জরে আবদ্ধ পাখি
মহাসমুদ্রে পেরতে চায়;
চায় পাড়ি দিতে মহাকাল পেরিয়ে পরলোকে।
ব্যয়কুণ্ঠ গৃহযোদ্ধার হাড়িভর্তি আলোচাল,
চন্দ্রহার গলে লক্ষ্মী পেঁচা,
জন্ম-মৃত্যুর সমীকরণে ফেঁসে গেলো কর্তা।


রবিশস্য, ফলেছে বেশ।
সরষে ফুলের ম ম গন্ধ,
মস্তকের চূড়ায় লাগানো শিউলি ফুলের ক্বাথ,
সে ও ঝরে পড়ে ব্যস্ত বরফকলের বরফের মতন।


মকমকি রবে লাফিয়ে চলেছে মণ্ডূকী।
তার সারা দেহ ভিজছে ক্ষণেক্ষণে,
শূন্যতা ঘুচিয়ে করছে পাপের প্রায়শ্চিত্ত।


বাঁশের মাচা, প্রচ্ছদ ছেঁড়া উপন্যাস,
অনাদর-অবজ্ঞায় ডুবে মরছে ছেড়া খাতা;
জীবনের পাপ-পুণ্যের হিসেব লিখেছি যাতে।
পুণ্য নয় বটে,
পাপ বলা চলে।
এই খাতার হিসেব চুকিয়ে দিব আজ,
জীবনের অবসান হোক প্রায়শ্চিত্তের আয়োজনে।