শব্দহীন প্রাচীরের অভেদ্য দরোজা
খুলে দাও তোমার আনাড়ি হাতে,
মানুষের চোখের মায়া কাটিয়ে
সন্ধ্যাতারার আলোয় ফিরে আসো,
সাঁঝবাতি না জ্বললে ও ঘরে এসো।


মাছের বুক খুলে দেখো— সবুজ পাথর,
পানির সাথে তার জমেনি প্রেম,
বিষাদের রেখা তার ঘরের কার্নিশে।
বুনো শালিকের দল ভীড় করে সেথা
বিষাদ নির্যাস আহারের আশা নিয়ে।


উল্লসিত চিত্তে ভীড় করেছে মৌমাছি,
ফুলের অকালমৃত্যুতে মুখে হাসি তার—
অথচ সেই ফুলের মধু পান করেই
তার এই পৃথিবীতে টিকে থাকা।
এ কি বেঁচে থাকার অভিসম্পাত,
নাকি অকৃতজ্ঞতা?
নড়ে বসে গাছের বায়োজ্যৈষ্ঠ্য শাখা।


গলির মোড়ের চা'ওয়ালা গুটিয়েছে ভ্যান,
চা-সিগারেটের এই মায়া ত্যাগ করে
হাটা ধরল এক প্রাচীন কুটিরের দিকে—
খানিক দূরে মিটমিট করছে দুটো নক্ষত্র,
প্রেমিকার চোখ নক্ষত্রের চেয়ে কম কিসে?
বুকপকেটে পচে যাওয়া এক ফুলের কান্না,
প্রেমিকার খোঁপায় যেতে চায় সে।


সন্ধ্যে নেমে এলো, আকাশে আলো নেই;
তবুও আশপাশটা ভীষণ আলোকদীপ্ত,
ইঞ্জিনের জায়গায় এসেছে পাটাতন,
কঙ্কালের স্থানে আস্ত মানুষের আবিষ্কার,
পৃথিবীর স্তন বেয়ে ভাসমান জলে
পৃথিবী আবারো মিশেছে ধুলোয়,
সাঁঝবাতি জ্বলবার আগে
পৃথিবী আবারো পৌঁছেছে অন্তিম রেখায়।