আমি কার আর্তনাদের শিকল জুড়ি?
কে সে আজ হাহাকারের কাহন গলায়-
চিৎকার করে চাই অধিকার বেঁচে থাকার?
কেউ আবার এইভাবে আর বাঁচতে চায়না-
বলেই করে আত্মহনন! ঘৃণীত এক দৃষ্টান্ত-
হয়তো এদের কর্মফলে কেউ নিয়েছে মুখ ফিরিয়ে-
কিন্তু একার নিরব ক্ষণে কাঁদতে গিয়ে ভুল করেছে।


অত্যাচারী কাছে হেরে এমন ভাবে নিঃস্ব হওয়া-
হিংস্র পশুর থাবায় ছিঁড়া কপাল দুঃখে মূর্ছা যাওয়া-
ভুলতে গেলে হিসেব গুলো গুলিয়ে যায় অাঙ্গুল ফাঁকে।
না জানি এ হিংস্রতা সে শিখলো কোন পশুর থেকে-
কোন পশুরা মিথ্যে বলে? লালসাতে কোন পশুরা-
চুরির বিদ্যা রপ্ত করে? কোন প্রজাতি কামের নেশায়-
পাগল হয়ে আঁচল ছিঁড়ে? কোন প্রাণীকূল বুক ঢেকে
বা না ঢেকেছে এমন দন্দে ধর্ষিত হয়?
এসব কাজ মানুষ করে! শয়তান কে কেউ দেখেনি-
কেউ এসে কি প্রমাণ দিবে এসব কোন পশুই করে?


হত্যা আর রাহাজানি, মার-দাঙ্গা আর দলবাজিতে-
বিলুপ্ত প্রায় মানবতা, বিলুপ্তির পথে জ্ঞাণী-গুণী।
কেউ আজ যা সত্যবলে প্রতিষ্ঠা দেয়- কাল কেউ
আবার নতুন করে প্রমাণ করে মিথ্যে ছিল!
যে পীর বা মনীষী কে কেউ মেনে নেয় পথ দ্রষ্টা-
কেউ বলে সে ভন্ড একটা পথ ভ্রষ্টের কারণ বলে!


কোন মূর্খ ঘুষ নিয়েছে? জ্ঞান দরজায় কপাট ফেলে-
উচ্চ বিদ্যাপীঠের দেয়াল কালো করে সে যন্ত্র গুলো-
আজ সমাজের কর্তা হলো- সভ্যতা নেয় বদলে ফেলে।
আজ এদের হাতেই সমাজ রোজ ধর্ষিত হয়।
হাজার ঢংএ ধর্ষিত হয়। পাগল হলেও এমন কোন-
আকাজ কোন পাগল করে? কেউ এসে কি প্রমাণ দিবে
এসব কাজ পাগল করে? এসব তো মানুষ করে!
কেউ এসে কি প্রমাণ দিবে এসব কোন পশুই করে?