রাত এতো নিস্তব্ধ কেন?
যেন কোন মৃত ধু ধু মরু প্রান্তর।
চোখ যতদূর যায় খালি শূণ্যতা-
কিছু ধেয়ে আসে মনে হলেও যেন মরুঝড়!


দূর হতে কানে ভেসে আসে কুকুরের ডাক-
মনে হয় রাত কাঁদে আর্তনাদে।
নিঃশ্বাস গুনে গুনে পড়ছে বুকের-
যেন শেষ কএকটি ক্ষণের প্রহর কাটে।


যাই ভাসে চোখে সব কালো কালো ভয়-
যেন দুঃস্বপ্নের জেগে উঠা মনে হয়।
জেগে আছি দেখেই তো অবাক লাগে!
গভীর রাতের ছায় এমনও কি হয়?


কতোই না জেগেছি রাত ভয়ার্ত ক্ষণের-
বিভীষিকাময় রাত কতো এসেছিল।
স্বীয় বুকের মাঝে ধুকফুঁকানিও-
কতোবার মৃত্যুকে ছুঁয়ে দিয়েছিল।


সেই স্মৃতি গুলোই না ভুলে যাবার ছিল?
আজ আবার জীবন্ত হয় উঠে পরপর...
রাত এতো নিষ্ঠুর কেন?
জেগে উঠে মনে হয় যেন যমঘর!


অলিক স্বপ্নদ্রষ্টা এমন মনেও
এমন বিভ্রান্তিকর সময়ও কি আসে?
যেখানে শুধুই সব আঁধারের প্রাণ-
আঁধর কে গিলে খেতে চারপাশে ভাসে!


ঝিঁঝিঁপোকাও বা আজ চুপচাপ কেন?
তাহলে কি সত্যিই আমি বেঁচে নেয়??
জীবন্ত মৃত্যুর চেহেরই বা কেমন?
আজ দেখা হয়ে গেল বুঝি নিশ্চই?


কিন্তু এর অভয়ব আঁকছেনা মন!
ঘেমে নেয়ে গেছে দেহ শীতল হয়ে।
এ যেন বন্দি নিঃশ্বাসে বাঁচতে চাওয়া-
প্রাণ খুঁজে ফেরা দেহের ভস্ম ছাইএ।


আজ একটু তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া হলো। কিন্তু এমন জেগে ওঠার কোন ইচ্ছে ছিলনা। কখনোই না। একটি শীতের রাতের শেষ ভাগ ৩টা বেজে ১৫ মিনিট হতে ৪টা বেজে ৫ মিনিট। (২৪/০১/২০১৮) বুধবার।