আমি তোমাদের ভালোবাসি বলে-
নিজের থেকে নিরাপত্তা দিয়েছি-
কিন্তু এ সমাজের থেকে নিরাপত্তা দিব কি করে?
কি করে শান্ত থাকবো যখন তুমি পথে লাঞ্চিত হও
আর যখন দেখি তারা আমার মতই কেউ-
লজ্জা পাই, বড় লজ্জা হয় ভাবতে আমি ওদের মত।


তাদেরও তো মা আছে, বোন আছে, আছে প্রেমিকাও।
হয়তো মা-বোনকে নিরাপদ রেখে প্রেমিকাকে ভোগ্য
পণ্য করেছে এরা কেউ কেউ। কেউ আবার পথে
বের হওয়া নারীদের মাঝে খুঁজে নিচ্ছে নেশাতুর সুখ।


এরা কি সত্যিই অবোধ? খুব অসভ্য প্রকৃতির কেউ?
আমি বলব না। এদের মা-বোনের সাথে এমন ঘটলে-
এরাও হয়ে উঠতে জানে পৃথিবীর সেরা সন্তান বা ভাই।
এদের শরীরের লৌহকণিকায় বজ্র চমকে ওঠে-
তবে কেন এদের হাতেই নারী এতো লাঞ্চিত হয়?


বোধের মানচিত্র এখন ভৌগোলিক সীমারেখায়-
জাতীয় সার্বভৌমত্তে বন্দী জীবন কাটাচ্ছে।
বিশ্ব বৈচিত্রে জাতিভেদ যেমন আমাদের দেখিয়েছে
শক্তিশালীদের পেশী শক্তির পৈশাচিক বর্বর নিদর্শন।
তেমনি সমাজেও আজ বোধের আষ্টেপৃষ্ঠে-
একসাথে চলে ভালোবাসা রক্ষা ও নিজের হিংস্র-
সত্ত্বাকে একসাথে বাঁচিয়ে রাখার অভিনব প্রদর্শন।


এরা যতনা হিংস্র- তারো চেয়ে বেশি মায়ামহ-
এদের সাধনায় মহাপুরুষের শৌর্যবীর্য চমকে।
এরা কেউ মানুষ নয়। যদি মানুষ হতো তবে আমিও
পারতাম এদের হাত থেকে তোমাদের বাঁচাতে।
কিন্তু এরা তো হলে হয় মহাপুরুষ- নয়তো রাবন।