ঝলসানো কলমের কালিতে আর-
কতই বা রং ধরে?
ছেঁড়া কাগজের জমিনে কালির আঁচড়!
বড় অদ্ভুত ভাবনায় কেটে গেছে কাল,
জীবনেরও কেটে গেছে দ্বিপ্রহর!


ডায়েরীর পাতা জুড়ে কবিতার ভীড়,
সেই ছেঁড়া পাতা হতে তুলে যতনে,
কবে যেন সেজে গেছি কবিতার কবি?
কত কথা মালা গাঁথা সংগোপনে!
তবু কত রয়ে গেল আরো অজানা,
অচিন রয়ে গেল আরো কত সূর!!
জীবনের বাঁকে-বাঁকে আরো কত সাজা বাকি
না জানি স্বপ্নের কত নব ভোর!
আরো কত স্মৃতি কথা হয়ে গেল গুম,
চোখের আড়াল হল কত স্বপ্ন!
আজ আবার ফিরে আসা সেই ভালবাসা খোঁজে
সেই স্মৃরি সেই সূর গড়ার জন্য!


এতো কাল পড়ে এসে ডায়েরী হাতে
পরিচয় খুঁজে ফিরি কে ছিলাম আমি?
সে প্রথম শুরুর স্মৃতি মনে পড়ে যায়,
নিজে রচা সেই মহা- মনীষীর বাণী!
আজ পড়ে আন্ִমনে বড় হাসি পায়,
মহা কবি হতে কত চরন বুনি।
এক দিনে সেজে যেতে মহা কবি গুরু
স্বপ্ন ছিল মনের আকাশ চুমি!


সেই স্বপ্ন মনের সে-যে কবে হল গুম?
আজ আর সেই কথা ঠিক মনে নাই।
লিখাটা একসময় নেশা হয়ে গেল বলে
আজো কলম হাতে ডায়েরীর পাতায়-
এঁকে চলি জীবনের নানা স্বপ্ন,
ভাবনা মনের যত, মনে করে ভিড়।
আজো আমি সুখে বাঁচি স্বপ্ন সাজায়,
আজো স্বাধীন বলে আমার ডায়রীর নীড়!


অনেক অভিমানে, ছেড়ে-চলে-ফিরে এসে,
আজ দেখি আমি ছাড়া সেই সূর-ছন্দ!
ধুলো-বালি মেখে আছে স্মৃতির পাতায়
সেই স্বপ্নের দ্বার ও আজ বন্ধ!


সেই ছেঁড়া পাতা গুলো আজো পড়ে আছে সাথে
ভাজে-ভাজে সাজা সেই আগের মতন।
আজ আবার সেই পাতা, সাথে সেই জন!
ঝলসানো কলমের কালি দিয়ে আঁকা শুরু,
নতুন স্বপ্ন-সুখের কাব্য-চরন!!