[ পৌঁছলাম শুবলং-এ,আবার হতাশ হলাম । প্রকৃতি কানে-কানে বলল আমায়- " দেখ তোমরা আমার সৌন্দর্য্য দর্শনে অকৃপন ভালবেসে উপভোগ করেছ আমার রূপসুধা ! সব সময় আমি তোমাদের দিয়েই যাচ্ছি ! ফিরে যাও তোমার শহরে, আর দেখ তোমরা কিভাবে আমার ক্ষতি করে চলেছ প্রতিনিয়ত ! "
চোখে জল এসে গেল, এ যেন চীরযৌবনা রমণীর নুপুর হারানোর শোকে বিধির্ণ বুক ! যা জল গড়িয়ে পড়ছে নিঃশব্দে, তা যেন প্রকৃতির কান্না…]


কবি-
কেন হল এমন?
তোমার নুপুর টুটল কোথায়?
ভঙ্গ কেন মন?


প্রকৃতি-
আজকে আমি শুকিয়ে গেছি,
সূরের নাই আর বান ।
সোনার নুপুর হারিয়ে থামা,
ভাল-বাসার কলতান ।


যাও ফিরে হে কবি ।
আমার এরূপ আঁকিও না,
এমন বিশ্রী ছবি ।


কবি-
কান্না আমার বুক ফেঠে যায়,
জল ছল-ছল চোখ ।
কেউ দেখেনি, দেখেছি আমি,
প্রিয়ার মলিন মুখ ।


ভালবাসার জল-ধারা,
থামা তার বুকে খড়া,
যে টুকু জল নিঃশব্দে,
ঝর্ণা বেয়ে পড়ে ।
জানি তা তার চোখের জল,
নিরব অঝর ঝরে…


(আমার শিকড় ০২ ডায়েরী হতে সংকলিত ও সংক্ষেপিত)
[facebook post:- 07/01/2013]