ক্লান্ত সন্ধ্যার শেষ ভাগে হাঁটা শুরু-
বাসায় ফিরব বলে- একলা এ পথ!
কেউ নেই অপেক্ষা করবে বা পথ চেয়ে র'বে !
কেউ নেই জিজ্ঞেস করবে- 'ফিরেছিস ভালভাবে?
খেয়েছিস কিছু? আরো কতো কি!
ও সব বাদ, পথের কথায় বলি-
আমি ক্লান্তি-জড়া সন্ধ্যায় নিরুদ্দেশ হাঁটি!
দুই কিলো হেঁটে বাসায় পৌঁছব-
তাড়া নেই- ঐ যে বললাম কেউ নেই!


এ পথে অনেকের দেখা হয়- পথিক!
তাদের কেউ আমার চেনা নই!
সেই ভিক্ষুক টি পরিচিত হতে গেছে,
পরিচিত হয়ে গেছে পথের ধারে টি'স্টল!
তারাও ও সময় ফিরতে ব্যস্ত!
ল্যাম্পলাইট গুলো ধীরে ধীরে একা হতে শুরু করেছে!
ফুটপাতের জনতাও ঘুমের মিছিলে কাথা-কম্বল গায়-
শীতের বিরুদ্ধে সংগ্রামী স্লোগান তুলেছে!


দুইজন তরুন তরুনী হাতে-হাত রেখে চলার পথে
ছেলেটির বুকে মেয়েটি ভালবাসার স্বপ্ন সকাল সাজিয়ে
নিয়েছে মাথা রেখে! আমারো ইচ্ছে হয়!
আমার বুকে কেউ স্বপ্ন সাজাক! এই কালো সন্ধ্যায়-
সেজে আসুক ভোর প্রেমের উচ্ছাসে!
তবে, একা পথ চলা আমার! কেউ নেই!


চৌরাস্তায় এসে পৌছেছি, শহর শান্ত হতে ব্যস্ত
তবুও জ্যাম চিরচারিত নিয়মে লেগেই আছে!
তবে আমার তাড়া নেই, আমার হাঁটা রত সময়ে
এ ট্রাফিক বাঁধ সাধতে পারে না তবুও!


রেললাইন ধরে কিছু পথ হাঁটতে হবে,
এর দু পাশ জুড়ে গুন গুন ভালবাসার গল্প!
কে নেই এখানে? রিক্সাওয়ালা থেকে শুরু করে
ভার্চিটি পড়ুয়া ছেলে, বস্তির বকাটে  ছেলে হতে
একটু বড় হয়ে উঠা টুকাইটির কানেও মোবাইল-
সেই একটাই সুরে একি কথা- 'হ্যালো জান!


এদের পথে ছেড়েই আবার রাস্তায় উটে এলাম
প্রায় এসে পড়েছি আমার গন্তব্যে!
একটি এ্যাম্বুলেন্স কোন মুমুর্ষ রোগীর আত্মচিৎকারের-
ধ্বনি তুলে পথের সময়ের সাথে পাল্লা দিল!
ওখানে হয়তো কেউ যুদ্ধে রত পেরুতে অন্যপথ!