১৯৭০ সালের স্বাধীনতা পূর্ব সময়ে সেই সারাজাগানো ছবি! জহির রায়হানের "জীবন থেকে নেয়া” ছবিতে খান আতাউর রহমানের গাওয়া এক অন্তরার একটি বিখ্যাত গান-


এ খাঁচা ভাঙ্গব আমি কেমন করে?
এ খাঁচা ভাঙ্গব আমি কেমন করে?


দিকে দিকে বাজল যখন শিকল ভাঙ্গার গান!
আমি তখন চোরেরে মতো,
হুজুর হুজুর করায় রত!
চাচা আপন বাঁচা বলে, বাঁচিয়েছি প্রাণ!
আসলে ভাই একা একা, বাঁচার নামে আছি'ই মরে!
এ খাঁচা ভাঙ্গব আমি কেমন করে?
এ খাঁচা ভাঙ্গব আমি কেমন করে?


এ গানটির ২য় অন্তরা স্বাধীনতার ৩৬ বছর পর একটি ব্যান্ড নিজেদের মত তৈরী করে গেয়েছিল এভাবে…


দিনে দিনে বাড়ছে আমার বন্দি থাকার ঋণ!
মাছের কাঁটা গলায় ধরে,
সইছি বড় যতন করে!
বেহায়ার লাজুক হাসি, হাসবে কত দিন?
কেউ কি ভাই টনক আমার নাঁড়িয়ে দেবে? চাবুক মেরে!
এ খাঁচা ভাঙ্গব আমি কেমন করে?
এ খাঁচা ভাঙ্গব আমি কেমন করে?


এদের এ সাহসী অনুপ্রেরণায় স্বাধীনতার ৪২ বছর পর আমি এর ৩য় অন্তরা লিখতে সাহস করলাম এভাবে…


এ খাঁচা ভাঙ্গব আমি কেমন করে?
এ খাঁচা ভাঙ্গব আমি কেমন করে?


আকাশ মাথায় ভেঙ্গে পড়ে, গর্জে উঠে স্লোগান!
আমি এথায় দাসের মত!
হুজুর হুজুর করায় রত!
অসহায় বন্দি আমি, হয়ে রই গুলাম!
নারীর আঁচল শিকল হয়ে রাখল আমায় বন্দি করে!
এ খাঁচা ভাঙ্গব আমি কেমন করে?
এ খাঁচা ভাঙ্গব আমি কেমন করে?


যদি এসময়ে জহির রায়হান আর খান সাহেব থাকতেন, তাঁরা "জীবন থেকে নেয়া”র সিকুয়েল তৈরী করতে গিয়ে ২য় অন্তরা যেভাবে লিখতেন তাও নিজের মত করে ভেবেছি এভাবে…


দিনে দিনে বাড়ছে আমার মুক্ত হবার ঋণ!
দিনে দিনে বাড়ছে আমার স্বাধীনতার ঋণ!
স্বাধীন হবার সুখে ওরে,
নামে বেঁচে আছি'ই মরে!
আজো হাই সুখে ঘুমায় জেগে উঠি স্বপ্ন পুরে!
স্বপন আজো ঘুময় মনে, শহীদের ঋণ যাচ্ছে বেড়ে!
এ খাঁচা ভাঙ্গব আমি কেমন করে?
এ খাঁচা ভাঙ্গব আমি কেমন করে?


কি ভাবছেন?? মন্তব্য চাই____