কত কাল যেন হারিয়েছে পিছু? কতনা ছন্দ-চরন।
আজ সবি শুধু স্মৃতি অতীতের কল্পনা স্মৃতি চারন।
আজ বড় মনে পড়ে যায়, সেই সে দিনের কথা।
লিখা লেখিতে রাতা-রাতি সেজে যেত স্বপ্নের রূপকথা।
এক নয় কোন দুইও নয় তা, দিনে পাঁচ-ছয় কবিতা!
সেজে যেত কত অনায়েসে মনে কাব্যের রূপকথা!


প্রথমে প্রথমে কবি ভাব খানা ছিল এক বিলাসিতা।
আমি মহা গুনী কাকে আমি শোনি? সবে শোনে মোর কথা!
এমনি ভাবের এক ডায়েরীতে দেড় শত কবিতায়!
স্বপ্নে মনের আকাশ ছোঁয়ে রবি ঠাকুর সেজে যায়!


এমন স্বপ্ন বিভোর মনের কাঁচা নঁকশির কথা!
সজন-সুজন পড়ে বাঁকা হেসে, উপদেশ- 'ছাড় এই রসিকতা!'
বাবা'র বকুনী রাত দিন শোনি- 'এই ডায়েরীতে কাম নাই।
যদি পার বাচা পড় মন দিয়ে সার্টিফিকেট চাই।
সামনের যুগ আসছে কঠিন বিনা ডিগ্রীতে বউও নায়!
বাচাধন আমার ছাড় কবিতা যদি খেতে মন চাই-
না হলে তোমার আজ হতে ঘরে ভাত পানি বন্ধ।'
এভাবেই আমার কবি জীবনের সেজেছিল শুরু-ছন্দ!


আরো কতো কেউ আরো কত ভাবে আমাকে করত হেউ!
ক্ষুভে দুঃখে আড়াল হয়েছি আর দেখলনা মোরে কেউ!
আড়ালে আড়ালে স্বপ্ন বুনেছি কাঁচা হাতে জুড়ে কথায়!
চরন জুড়েছি স্বাধীন মনে ইচ্ছের কবিতায়!
দুখানা ডায়েরী লিখা হলে পরে প্রথমটা উল্টায়।
চোখ বুলিয়ে হাসি আর হাসি- সে কাল কে বুঝে পাই!
কত আগুছালো ছিল কথামালা, দূরহ ছন্দ চরন!
সেইবার বুঝা হয়েগিয়েছিল- কেন করা হত এত বারণ?
এর পর হতে কবি হতে লিখি- 'আমি নই আজো কবি।'
বুঝা হয়ে গেল এই অগুছালো জীবনের ছায়াছবি!


এর পর হতে কলম হাতে কত নির্ঘুম রাত জেগে,
একটি কবিতার খোঁজ করে চলি আজো আছি পিছু লেগে।
কতবার ছেড়ে ধরেছি কলম, কত না-লিখার পণ
বার বার ভেঙ্গে ধরেছে তুলি নেশাতুর এ মন।
জানি এ কব্য হয়তো বর্জ্য-ঝলে-পুড়া কিছু ছাই!
হয়তো এখানে মিলে যাবে কোন 'যার তুলনা নাই।'


হয়তো এ আশায় বা লিখার নেশায় রচে যায় আজো কলম।
সত্যি বলতে লিখাটায় নেশা নেশাতুর এ মন!