স্বপ্ন মনের সেজেছিল দূসর-মরুর বালুকাবেলায়-
মনের গহীনে। স্বপ্ন যেখানে তিয়াসের পানি-
আলেয়ার চোখ ভ্রম সুদূরে মিলায়!
সেখানেও পঁচেনি সেই ছেঁড়া পলিথিন!


আজো শোধ হয়নি তার ঋণ!
আজো আছে জুড়ে তা স্মৃতির আঙিনায়, সে ফুল ছাঁই!
মরুর এ জমিনে সবি যেন মিছে এ মন আঙিনায়-
ভয় লাগে, চোখের পলকে অলক্ষ্যে শংকা জাগে!
তড়িৎ ভেনিস সব, মন রংহীন!
মরুর উত্তপ্ত বালুতে দব শুকিয়ে কাঠ…
সব, সব পঁচে গেছে…
শুধু পঁচেনি সেই ছেঁড়া পলিথিন!


একটা কলম ছিল, কবি খুব শখ করে
সে কলমের আঁচড়ে সুর আঁকত, স্বপ্ন সাজাত
সুরছন্দে স্মৃতির আঙিনায়, সে ভালবাসত!
সে ভালবাসত সে কলম ও মনের সে সবুজ জমিন,
আজ যেখানে ধু-ধু বালুচর, সে মন মরুর শহর।
আজ সে কলমের কালি চুঁষে তৃষ্ণা মিঠিয়ে বাঁচি!
কলমের কালিও একদিন শুকিয়ে কবির মৃত্যু হয়!
সেও পঁচে গলে নিঃশেষ- থামা সুর-বীণ।
শুধু পঁচেনি সেই ছেঁড়া পলিথিন!