প্রভূ, শোনেছি অনেক মহান তুমি।
তবে কেন জগত তোমার এমন?
নিয়তির ফাঁকে ফাঁসি গলায়-
সুখের অসুখ কেন যেমন-তেমন?


তোমার তো অনেক আছে শোনি!
তবে কেন তোমার বান্দা ফখির?
ঘুমিয়ে যার আছে সবকিছু-
ভিখারীর রাত জাগা জিকির-
কেন শোনেও ভান কর না শোনার?
শোনিনি কমতি আছে তোমার?
তবে কেন বল এমন তুমি??
তবে কেন বানালে জ্ঞান-গুণি?


তারা তো তোমায় নিয়ে খেলে!
মাটিতে পা পড়েনা বলে-
ধনীরা হচ্ছে আরো ধনী!
গরীবের বিভোগ দিন-রজনী।
তবুও তোমায় সে মানে-
সে সবি তোমার খেলা জানে-
তুমিও সবি জান মানি।
তবু মনে প্রশ্ন জাগে স্বামী।


তুমি সব শোনবে বলেই বলি-
গরীবের কেন ছিঁড়া থলি?
কেন সব তোমার মালে তালা?
উরা কেউ বুঝেনা ক্ষুধার জ্বালা।
কেন সব উদের হাতেই দিলে-
নাকি সব বদলে যায় পেলে?
যদি হয় এমন ফয়সালা।


যদি এ ধন কেড়ে নেয় মন-
বদলে- পোশাকে সুজন-
যে আহার নিজের পেট-ই ভরে
দিওনা আমায় এমন থালা!


আমি ভাল এখন আছি যেমন
জলচোখ-সুখেই আছে মন।
কাঁদি কেউ অনাহারির দুঃখে
নিজের-ও আহারে নেই মন!


আমি আর খেতেই নই বাঁচি-
আমি আর ধন-ও না-যাঁচি-
প্রভু দেহে দাও মানুষের মন।
টাকা নয় চাইনা সুখের ক্ষণ!


বিলাসীর চাইনা ভালবাসা।
শ্রমিকের আঁচলে ঘাম মুছা-
সে মেয়ের আঁচল পেলেই খুশি।
আমি প্রভূ আভীমানেই কাঁদি
আপনের অপমানেও যদি-
তবুও আপন ভালবাসি।।


চাই আমি সকল সুখে বাঁচি-
চাই আমি সকল ভালবাসি-
চাই আমি হাসায় আর হাসি-
যে কারো দুঃখে আঘাত পাই!
আমি চাই ধনের বিভেদ ভুলি-
সকলে মাটিতে পা ফেলি-
মানুষের মূল্য খুঁজি মনে-
সকলে মানুষ হতে চাই।
প্রভু শুধু তোমার দয়া চাই।।
[12/11/14facebook post]