নীলাঞ্জনা, এই শরৎ প্রারম্ভে ভরা ফাগুন আঁখি তুলে
পাণ্ডুর পৃথিবীর কাঁচা হলদে বিকেলে এসো
গাঢ় নীলবাসে অধুনা সবুজ মাঠে
আসমানে উড়াও তোমার দীঘল কেশ, ভীরু আঁখি
তুলে চাও লাল সন্ধ্যায় অনুরাগে আমার পানে।


চেয়ে দেখো ওই পাখিরা ফিরিছে নীড়ে, ভালোবেসে
তার ছোট্ট খড়কুটোর বাসায় ; সন্ধ্যার আকাশে
উড়ে গাঙচিল, উড়ে জীবনানন্দের সুদর্শন ভেবে
অতীতের ফাল্গুনী স্মৃতি।    


এসেছি দুজন তুষারশুভ্র নক্ষত্র থেকে রূপালি পাণ্ডুর জগতে,
এসেছ তুমি চোখেতে ভরা ফাগুন নিয়ে শ্যামলী মাঠে
সেদিন অসময়ে দেখেছি আমি ভীষণ উৎসুক আঁখি মেলে
তোমার শ্রাবস্তীর মতো কারুকাজ মুখ।


চেয়ে দেখো ঐ আকাশে সাদা মেঘেরা উড়ে যায় দূরে কোথাও
তুমিও মেঘ শুভ্র পিরান পড়ে এসো, কপালে দাও কালো টিপ
খোঁপায় গুজে দাও চাঁপা ফুল অথবা বাঁধো বেণী চুলের
এই শরতে উচ্ছ্বাসে নীলকমলিনী।    


দিবসের সব কাজ ভুলে আজ শারদ গোধূলি এসো লাল পায়
সেই অতীতের প্রহরী দ্বার ; এসো সেহেলির সনে অথবা নিঃসঙ্গ
এক পায় সোনালি পায়েল পড়ে এই তটে নীলাঞ্জনা ;
চলে যেয়ো সূর্যাস্তের বেলা।  


নীলাঞ্জনা,  ফুটেছে অজস্র সাদা কাশফুল নদীর ধারে,
উত্তরী বাতাসে ভাসে তার মুগ্ধ তুষার পাপড়ি  ; নীলে
উড়াও তোমার সফেদ আঁচল শরতের কোন এক বিকেলে
এই আবদারটুকু রেখো নীলাঞ্জনা।