আমি একদিন আকাশের নক্ষত্র হবো,
শত আলোকবর্ষ অবধি জ্বলবো বিস্ময়কর মহাশূন্যে!  
আমি একদিন ঘুম-ভাঙা পাখি হবো,
মিষ্টি কুহুতানে ভাঙাবো তোমাদের ঘুম।
আমি একদিন ফুলবাগের রজনীগন্ধা, হাসনাহেনা হবো,
সুরভী বিলাবো প্রভাতে, নিশার গভীরে।
আমি একদিন কুমারী যুবার চরণের নূপুর হবো,
রিনিঝিনি মাতাল সুরে মাতাবো পাড়াসুদ্ধ।
আমি একদিন দীঘির জল হবো,
দুষ্টু কিশোর আমার বুকে খেলবে খেলা।
আমি একদিন ও- গগনের বাদল হবো,
ঝরে পড়বো টুপটাপ তমাল-বনে।
আমি একদিন আকাশের পূর্ণ চন্দ্র হবো,
অন্ধকারে দেখাবো শরণ।
আমি একদিন বটবৃক্ষ, কৃষ্ণচূড়া হবো ,
জুড়াবো মনুষ্য আঁখি, ঝড়-বাদলে দিবো আশ্রয়।  
আমি একদিন কিশোরীর পায়-আলতা হবো,
পাগল করে দেব তরুণ হৃদয়!  
আমি একদিন রোদেলা হাতের মেহেদি হবো,
ছুঁয়ে দেব কবির ভুলো মন।
আমি একদিন প্রভাতের শিশির হবো,
দূর্বাদলে মেখে দেবো অনুরাগ।
আমি একদিন সুঁতো কাটা ঘুঁড়ি হবো,
প্রবল হাওয়ায় উড়বো আকাশে।
আমি একদিন ছোট্ট শিশু হবো,
মায়ের প্রেমময় পরশ পেতে।  
আমি আবার আসিব বাঙালি হয়ে,
প্রিয়তমা এ সুরভি বাঙলায়।
আমি হলে বাঙালিই হবো,
জন্মিব ফের পল্লীজননীর কোলে।