কে গো তুমি মেয়ে? কোন সফেদ নক্ষত্র হতে এসেছ তুমি
শ্যামলিমা প্রিয় বাঙলায়? সমস্ত রূপ বুঝি নিয়ে এলে,
বুঝি তোমার রক্তাভ ঠোঁটে মেখে দিলে গোলাপের রঙ।
তোমার দীঘল ঘনকালো কেশ যেন ঘন অন্ধকার রজনী,
মধ্যদুপুরে ছুঁয়ে দেয় চুল ওই নীলাভ দিগন্তরে।


কে গো তুমি মেয়ে?  কোথা পেলে এত রূপ?  
চাঁদের আলোয় যেন মাখামাখি তোমার সারা অঙ্গ!
কার তরে এলে এই রূপালি ধূসর পৃথিবীতে?  
কারে দিতে তোমার হিয়া? কোন তারার দেশে তোমার বাস?
বিংশ শতাব্দীতে রেখেছ তোমার পদচিহ্ন।
তোমার ডাগর দুটি চোখ হেরি হরিণীও পায় লজ্জা,
নুয়ে পড়ে ফুলগুলি তোমার রূপের রশ্মিতে!


কে গো তুমি মেয়ে?  কী মধুর কন্ঠ তোমার!  
সবুজ পাতাগুলি দুলে ওঠে সুরে তোমার যেন মধুকন্ঠী!
যেন কেউ মধু মেখে দেছে তব কন্ঠেতে।
গানের পাখি পাপিয়া ভুলে গেছে আজি গাইতে গান,
রাখালিয়ার বাঁশরিতে আর বাজে না'ক' সুর,
স্রোতস্বিনীর বুকে উঠে মৃদু ঢেউ তোমার নরম সুরে।