টুটিল আঁধার হলো রে প্রভাত উদিল পূরবে রবিকর,  
কাঁচা রোদখানি লাগিল অঙ্গে পশিল প্রাণের পর।
    ফুটিল বাগানে কুসুমকলি,
   ছড়ালো সৌরভ জুঁই-চামেলি
চলিল কর্মক্ষেত্রে পুরুষ-রমণী কর্ম তাগিদে ভোর।
ডাকিছে পাখি তরুশাখে কিচিরমিচির, খুলরে দোর।
  কিশোর রাখাল ধেনু লয়ে যায় মাঠে
   কলস কাঁখেতে পল্লীবঁধূ যায় ঘাটে
শুনি রাখালের বাশঁরীর সুর, বাজে বঁধূ পায় মল,
ফেরে ওই গৃহেতে রাঙা বউ কাঁখেতে মাটির কলস- জল।
   উঠোনের পরে ওই শিশুটি খেলে ধূলো নিয়ে
   সারা অঙ্গেতে মাখামাখি তার ধূলোবালি দিয়ে ।
মক্তবে যায় ছোট শিশু আর বালক-বালিকা পড়িতে কোরান কেতাব
শিশু কন্যাটি হাসি মুখো মুখো যায় শিরে লাগিয়ে তার নেকাব।  
        বাঁধিয়া কোমর গামছা কৃষক ছুটে ফসলের মাঠে
        সোনা ধান দেখে তার অধরের কোণে হাসি ফুটে।
গাছে গাছে ডাকে পাখি,  গাহে হেথা মিষ্টি মধুর গান,
নরম গানের সুরে  মোর ঊষাতে জুড়াই পরাণ ।