তোমাকেই বলছি,
একদিন এই বিশ্ব সংসার ছেড়ে আমি চলে যাব দূর-বহুদূর।
আমি রইব না, আমি রইব না আর এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে
আমি চলে যাব দূর নক্ষত্রে।
আমি তোমাকে আর যন্ত্রণা দিব না,
আমি হবো না তোমার বিরক্তের কারন।
আর কখনো তোমার ম্যাসেঞ্জারের নোটিফিকেশনটি অসহ্য বিকট শব্দের ন্যায় তোমাকে পীড়া দিবে না।
আর তুমি ভুগবে না কোন বিশ্বাসহীনতায়।
আর তোমাকে তোমার অবিশ্বাসী অধৈর্য মানুষটি
তোমায় জ্বালাতন করবে না।
আর কখনো চাইবে না তোমার তসবির,
আর কখনো বলবে না তোমার কন্ঠস্বর
শুনতে বড় ইচ্ছে করছে।
আর কভু বলবে না তোমায় সুপ্রভাত।
আর কখনোই বলবে না কেমন আছ তুমি?


             ২


তোমাকেই বলছি,
আমি তো ভুল করেছি, কেঁদেছি তাই নিরবে-নিভৃতে,
তুমি তা দেখো নি।
শুধু দেখেছ আমার বাহিরের উন্মুক্ত সাময়িক বিশ্বাসহীনতা।
তুমি দেখো নি ভেতরে আমার শত ব্যথিতের আহাজারি।
তুমি দেখো নি আমার কলিজায় তীব্র কষ্টের কালো ছাপ।
কত রাত ঘুমোতে পারি নি আমি,
নির্ঘুম কেটেছে আমার সমস্ত রাত
তোমার কথা ভেবে ভেবে।
আমি স্বীকার করছি কষ্ট দিয়েছি তোমায়
সে কষ্টের তীব্রতা আমি অনুভব করছি
এখন আমার অনুভবে।
                  ৩


তোমাকেই বলছি,
আমি এনে দেব তোমায় খালিদের তরবারি,
সেই তরবারির আঘাতে আমার দেহ
ছিন্নভিন্ন করে ফেলো,
অথবা আমায় আগুনে পুড়িয়ে ছাই করে দাও,
তবুও আমায় অবিশ্বাস করো না কিংবা দিয়ো না
আখ্যা বিশ্বাসঘাতক।
আমি অবিশ্বাসী নই,আমি অবিশ্বাসী নই,
আমি নই বিশ্বাসঘাতক।


               ৪


তোমাকেই বলছি,
যেখানেই থেকো ভালো থেকো,
যদিও আমি ভালো নেই, তুমিও ভালো নেই জানি।
জানি সময়ের ব্যবধানে একদিন সব ভুলে যাবে তুমি।
মনেও করবে না আমায়।
আর কেনই বা মনে রাখবে আমার মতো অবিশ্বাসী
অধৈর্য ভীরু কবিকে।
তোমাকে দিয়ে গেলাম এই পুরো পৃথিবীটা,
আমি রইব না আর এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে।
একদিন তুমি পুরো পৃথিবী তন্ন তন্ন করে খুঁজবে আমায়
কোত্থাও খুঁজে পাবে না সেদিন আমাকে তুমি।
আমি ঐ দূর মহাকাশে নক্ষত্ররূপে করিব বিরাজ,
আমি রইব না, আমি রইব না আর
এই প্রেমহীন পৃথিবীতে।
তোমাকেই বলছি,
যেখানেই থাকো
ভালো থেকো তুমি, ভালো থেকো তুমি,
ভালো থেকো তুমি।


[ বি.দ্র: এটি আমার ফেসবুকে " চিঠি" নামে ছিল কিন্তু আমি এখানে নাম পরিবর্তন করে " তোমাকেই বলছি" নামকরণ করেছি। তবে আমার লেখাটি কবিতার আওতায় পড়েছে কিনা জানিনা তবে একজন মানুষকে উদ্দেশ্য করে লিখেছিলাম উপরোক্ত লেখাটি ]