শরৎবাবুর ভীষণ অসুখ
                          মরণব্যাধি ক্যান্সার,
বলিলেন ডাক্তারমশাই নিঃশ্বাস ছাড়ি
                                বাবু বাঁচিবেনা আর।
হসপিটালে অমনি পড়িয়া গেলো
                                ভীষণ কান্নার রোল
কেহবা বুক চাপড়ায়, কেহ ছুঁড়ে হাত-পা
                        কেহবা ছিঁড়িছে মাথার চুল।  
জমায়েত হলো সেথা বহু লোক
                       শুনিয়া কান্নাকাটি,    
কী হয়েছে কী হয়েছে?  
                   ছুঁড়েছে কেহবা এমন প্রশ্নটি।
কহিল ভৃত্য কাঁদো কন্ঠে
                আজ্ঞে বাবুর নাকি হ'লো ক্যান্সার
ডাক্তার বাবু কহিলেন
                বাবুর নাকি বাঁচন বড় ভার।
লোকেদের মুখে আর কথা না ফুটে
               শুনায় শুধু স্বান্তনার বাণী
কুকড়ে কুকড়ে কাঁদিয়া উঠে
                 থেকে থেকে বাবু রাণী।
দেখিয়া শুনিয়া এমন কর্মকাণ্ড
                     কহিলেন শরৎবাবু,
ভয় কেন করো, কেন কাঁদো হে
                  মরণ মুঝে নেহি করপায় কাবু।
ভয় করি নাকো মরণেরে
                 লইবো মৃত্যুরে জিনিয়া
টলিব না তবু এতটুকু যায় যাক
                         প্রাণবায়ু চলিয়া।
দিনে দিনে মোর পাপ বাড়িত আরো
                            ডুবিতাম পাপ সমুদ্দুর
খোদার হুকুম তামিল নেহি হাম করেঙ্গে
                       মশগুল রইতাম পাপে তোর।    
মনে রেখো খোদার আশীষে
                     লভিনু দূরারোগ্য ক্যান্সার
এ যে মোর জীবনের বড় পাওয়া
                      সবচেয়ে দামী উপহার।