বোলতা রঙা বিকেল গড়িয়ে এলে  
একটা সেলু কাপড় জড়ানো
বিরিয়ানির হাঁড়ির মতো লাল সূর্যকে
বিদায় জানায় বাবলা শিরিষ তেঁতুল গাছেরা
পাতার হাত জোড়ো করে । মেঘের মঞ্চে পাতা
রোদের শতরঞ্জি গুটিয়ে নেয় আকাশ ।
মুড়ির মতো সাদা বকের সারি ঘরে ফেরে
হাওয়া সাঁতরে । চিলেরা ডানা স্থির রেখে
চক্কর কাটতে কাটতে নেমে আসে গাছের ছাদে ।
পুকুরের ধারে চাক নিয়ে ঘুরে বেড়ানো মা ল্যাঠাটা
ভুট দেয় হেলেঞ্চা পাতার পাশে  । ঊর্ণনাভফাঁদে
আটকে ঝুলে থাকা শুকনো সবেদা পাতা
তখনো ঘোরে ছত্রভঙ্গ হাওয়ায় ।


প্রকৃতির বুকে ছায়াছবির মতো
এ সব চিত্র তন্ময় হয়ে দেখতে দেখতে―
পুকুরে পা ভিজিয়ে নেওয়া ফড়িং-এর
ঠাণ্ডা পায়ের মতো এক টুকরো শীতলতা
যখন সিঁধ কাটে ক্লান্তির ঘরে ।
মনের ভেতর ভেসে ওঠে
মোমবাতির শান্ত শিখার মতো তোমার চোখ ।
যে চোখের সৈকতে আজও লেখা আছে
বারে বারে প্রেমে পড়ার সূত্র ।