** লেখাটি দুর্বল হৃদয়ের পাঠকের জন্য নয় !!  
____________________________


লোকটা গোঙাচ্ছে তখনো !!  
চিবুকের নিচ দিয়ে একটা বাঁকানো লোহার
হুক ঢুকিয়ে তাকে ঝুলিয়ে রেখেছে ওরা,  
কসাই যে ভাবে মাংস পিণ্ড ঝুলিয়ে রাখে ঠিক সেভাবেই।  
এরপর এক এক করে তার শরীর থেকে পোশাক
ছিঁড়ে খসিয়ে নিয়ে তার নগ্ন দেহটার উপর
ছিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে গরম তেল।    
'কি অসহ্য অসহনীয় যন্ত্রণায় গলা ফাটা আর্তনাদ!!'  
তবুও  লোকটা তখনো বেঁচেই ছিলো।  
টিকটিকির কাটা লেজের মতো ছটফট করতে করতে
কিছু যেন বলবার চেষ্টা করছিলো।
কিন্তু
পরক্ষণেই কৃপাণ দিয়ে কেটে নেওয়া হলো
তার দুটো হাত- দুটো পা,
নৃশংস ভাবে কচুকাটার মতো কুচিকুচি করা হলো!  
পেটে ছোরা চালিয়ে নাড়ীভুঁড়ির সাথে হৃৎপিণ্ডটা পর্যন্ত
টেনে বের করে আলাদা করে দেওয়া হলো ।


তবু হায়! আমাদের চারিপাশ বেশ শান্ত।


লোকটা এখন হাত-পা হীন একটা লাশ।  
ঝুলন্ত স্থির নিশ্চল কাটা অংশ গুলো থেকে
ঝরে পড়ছে ফোঁটা ফোঁটা টাটকা লাল রক্ত।
!!!  
এখানেই  শেষ হয়নি
তবুও তাদের পৈশাচিক তৃষ্ণার মৃত্যু খেলা!!  
শেষে পর্যন্ত তার মুণ্ডুটাকে হুক থেকে নামিয়ে
মাটিতে রেখে এক কোপে কৌণিক ভাবে
আধাআধি করলো সে পাষণ্ডরা।  
যার কিছুটা রক্ত পর্যন্ত ছিটকে এলো আমাদেরই সামনে।


কিন্তু তবুও আমাদের চারিপাশে আগের মতই শান্ত।  
কোনও পরিবর্তন নেই,
কোনও কলরব নেই,
কোনও প্রতিবাদও নেই ।
ব্রয়লার মুরগির মতো আমরা হাবা-গবা দৃষ্টিতে দেখছি
আমাদের সহকারীর জ্বলন্ত মর্মান্তিক মৃত্যুর দৃশ্য।
'পায়ে শিকল পরিয়ে মনের খুঁটায় বেঁধের রেখে দিয়েছি
আমরা আমাদের সাহসিকতাকে।'  
ভুলে গিয়েছি
পৈশাচিক পাষণ্ড কসাই এর হাত থেকে
নিজেদের মুক্ত করতে,
তাদের শরীরে ধারালো আঁচড় টেনে; তাদের পরাস্ত করে
আমাদের সহকারীকে রক্ষা করতে।  
প্রতিবাদের গনগনে লাল আগুন কণ্ঠে মাখতে।


শুধু চুপ করে বসে বসে আজও আমরা
   খুঁটে খাচ্ছি ভীরুতার দানা শস্য।  


          
               ********