আমি যখন থালা ভর্তি সাদা ভাত নিয়ে খেতে বসি,  
ঠিক তখনই মনে পড়ে যায়
ওভারব্রিজের সিঁড়িতে  বোন কে নিয়ে বসে থাকা
ছোট্ট ছেলেটার করুণ চোখ দুটোর কথা আর তার  
বোনের ক্ষুধার্ত মুখটার কথা । ওরা কি আজ খেতে
পেয়েছে ? ওর বোনের কি এখন কান্না থেমেছে?


আমি যখন কাপ ভর্তি লিকার চা'য়ে চুমুক দিতে যাই,  
ঠিক তখনই চোখে ভেসে ওঠে
ও গাঁয়ের খগেন মণ্ডলের গুলি বিদ্ধ রক্তাক্ত বুকটা  
কিংবা সুদীপ্ত কন্দের ক্ষত-বিক্ষত রক্তাক্ত শরীরটা।
যারা ছিলো জমি আন্দোলনের প্রথম সারির একজন।
আচ্ছা ওদের পরিবারের লোকজন এখন কেমন আছে?    


আমি যখন দিনান্তে ঘুমাবার জন্য বালিশে মাথা রাখি,  
ঠিক তখনই কানে ভেসে আসে
৪ নাম্বার প্লাটফর্মে গাছের তলায় জীর্ণ মলিন চাদর
গায়ে জড়িয়ে হাঁটু মুড়ে বসে থাকা বৃদ্ধটার কাশি।
ও কি এখন ঘুমিয়ে পড়েছে ? ও কে কি কেউ কম্বল
দিয়েছে? নাকি এই শীতে ফড়িং-এর মতো কাঁপছে ?  


আমি ঘুমাতে পারি না
আমি চা'য়ে চুমুক দিতে পারি না
ঠিক মতো খেতেও পারি না  
বুকের ভেতর গড়ে ওঠে একটা অস্বস্তির উপনিবেশ ।


গভীর রাতে খোলা ছাদে গিয়ে দাঁড়াই    
আর আকাশের উজ্জ্বল তারাদের দিকে মুখ করে
চিৎকার করে বলি -
হে সাম্য তুমি কোথায় ......? কত দূরে...?
উত্তর আসে না !
কোনো উত্তর আসে না !


শুধু দূর থেকে ভেসে আসে হিংস্র শেয়াল কুকুরের ডাক!!