ভাইফোঁটার এই উল্লাসের দিনে
      আনন্দ তো হয় না মনে, শুধু উত্তর খুঁজে
               মনের ভিতরে জাগা অশ্লীল, ভয়ঙ্কর সব প্রশ্নের।
আজকের এই দিনে,
দিল্লির নির্ভয়ার হাতে কেমন করে কনিষ্ঠ ভরবে থকথকে চন্দনে
   কী ফুল চড়াবে কামদুনির অপরাজিতা।
মনটা চলন্ত বাসের হঠাৎ ব্রেক নেওয়ার মতো
          সামনের দিকে বরাবর ছিটকে পড়ছে।
তারা কোন সুরে, কী বলে দেবে এই ভাইফোঁটা,
পাকস্ট্রীটের লড়াকু, মুম্বাই এর সাংবাদিক,
বারাসত, বাঁকুড়া, গাইঘাটা, নৈহাটি,
আরো, আরো, আরো,
কার কপালে গোল ফোঁটা দেবে
     কোন ছন্দে বলবে
"যমের দুয়ারে পড়লো কাঁটা",
যম যে তাদের দুয়ারে অনেক আগেই এবং বারবার
          এসে দাঁড়িয়েছে তার
আরো, আরো নৃশংস, ভয়ংকর, নির্দয় রূপ নিয়ে।
উরি, পাঠানকোট আরো আরো
বীরেরা গেল জীবন দিয়ে কাঁটা তারের ওই মাঝখানে,
হায়রে! তাদের বোনেরা আজ কি করে অতিবাহিত
         করছে এই ভয়ঙ্কর ভাইফোঁটা।
আগের বছর এই দিনের স্মৃতি যখন পড়বে মনে,
   হায়! হায়! তখন কী করে কান্দবে ওরা
                                   অশ্রুহীনা চোখে।
গায়ে কাঁটা দেয়
                 শিরশির করে 'পুজা' শব্দটা শুনলেই
সে আজ কী ভাবছে?
তার আজ কী মনে হচ্ছে?
         ভাইফোঁটার এই অঙ্গীকারে।
(নভেম্বর১:২০১৬)


তবুও ভাইফোঁটা তো আর রদ করা যায় না
একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব ভাইয়ের রক্ষাকারী ফোঁটার
উৎসবে আজ সকলকে জানাই ভাইবোনের মিলন
উৎসব অর্থাৎ এই ভাইফোঁটার শুভেচ্ছা ও আমার বোনদের
আন্তরিক ভালোবাসা ও অভিনন্দন।
দিকে দিকে পালিত হোক এই উৎসব যাতে বীর ভাইয়েরা
জীবন যুদ্ধে হেরে না যায়।
(ধন্যবাদ)